সহপাঠীদের বাঁচাতে গিয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর একটি হাই স্কুলের এক ছাত্র। হামলাকারীদের একজনকে প্রতিহত করতে গিয়ে ছাত্রটি প্রাণ হারান বলে তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, স্কুলে হামলার ঘটনায় ৮ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। তবে ১৮ বছর বয়সী কেন্ড্রিক ক্যাস্টিলো বাদে আর কেউ নিহত হয়নি।
ডেনভারের একটি শহরতলীতে অবস্থিত একটি স্কুলে এই গুলির ঘটনা ঘটে। বন্দুক হামলার ঘটনায় জড়িত দুজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০১৯ সালে এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রে ১১৫তম গুলির ঘটনা হিসেব মনে করা হচ্ছে।
কেন্ড্রিকের সহপাঠী নুই গিয়াসোলি জানান, তিনি যখন ব্রিটিশ সাহিত্য ক্লাসে ছিলেন তখন সন্দেহভাজন হামলাকারীদের একজন ক্লাসে ঢুকে বন্দুক বের করেন।
‘কেন্ড্রিক বন্দুকধারীর দিকে ছুটে যান এবং আমাদের সবাইকে ডেস্কের নিচে নিরাপদে লুকাতে বা ক্লাসরুমের বাইরে পালানোর যথেষ্ট সুযোগ করে দেয়।’
কেন্ড্রিকের বাবা জন ক্যাস্টিয়ো ডেনভার পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার ছেলে যে বন্দুকধারীকে প্রতিহত করতে তার দিকে এগিয়ে যায়, এ ঘটনায় একেবারেই অবাক হননি তিনি।
‘আমি অবশ্যই চাইতাম সে যেন লুকিয়ে থাকত। কিন্তু সেটি তার চরিত্র নয়। মানুষকে সাহায্য করা, মানুষকে রক্ষা করাই ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।’ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল কেন্ড্রিক।
ক্যাস্টিয়ো বলেন, তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনেই 'মানসিক আচ্ছন্নতার' মধ্যে আছেন ।
ব্রেন্ডান বিয়ালি নামের আরেকজন ছাত্রকে দ্বিতীয় বন্দুকধারীকে প্রতিহত করার জন্য 'নায়ক' হিসেবে প্রশংসা করা হচ্ছে।
নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীকে প্রতিহত করতে গিয়ে রাইলি হাওয়েল নামের ২১ বছর বয়সী এক ছাত্র গত মাসে মারা যান।
ডগলাস কাউন্টির শেরিফ টনি স্পারলক সাংবাদিকদের হামলার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, হামলাটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়। দুজন হামলাকারী যেই প্রবেশপথটি দিয়ে ঢুকে সেখানে কোনো মেটাল ডিটেক্টর ছিল না। তারা দু্টি আলাদা জায়গায় গুলি শুরু করেন। দুজনই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। গুলি শুরু হওয়ার মিনিট খানেকের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
টাইমস/এসআই