জাতিসংঘের অন্যতম রূপকার রুজভেল্ট

জাতিসংঘ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি চারবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য।

রুজভেল্ট ১৮৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি আমেরিকার হাইড পার্কে জন্মগ্রহণ করেন। হার্ভার্ড থেকে স্নাতক করার পর তিনি নিউইয়র্ক বারে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯১০ সালে তিনি নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত হন।

১৯২১ সালে তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ ও সাহসী যুদ্ধের পর, তিনি কিছুটা সুস্থ হন। ১৯২৮ সালে রুজভেল্ট নিউইয়র্কের গভর্নর পদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৩০ সালে পুননির্বাচিত হন। ১৯৩২ সালে তিনি ডেমোক্রেট দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯২৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধ্স নামে, যা ‘ব্ল্যাক টুইসডে’ নামে পরিচিত। ফলে বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। মন্দা মোকাবেলায় তিনি ১৯৩৩ সালে শ্রমিক, কৃষক এবং বেকারদের সুবিধা দিয়ে ‘নিউ ডিল’ নামে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি চালু করেন।

১৯৪১ সালের ১২ আগস্ট আটলান্টিক মহাসাগরে ব্রিটিশ রণতরী প্রিন্সেস অব ওয়েলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলের সাথে আলোচনা করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় খসড়া প্রণয়ন করেন। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর জাপান পার্লহার্বার আক্রমন করলে তার নির্দেশে আমেরিকা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে অক্ষ শক্তির পরাজয় ত্বরান্নিত হয়।

এ সময় মস্কো, তেহরান, ইয়াল্টা এবং নিউইয়র্কে বিভিন্ন সম্মেলনে তিনি অংশ নেন এবং উইন্সটন চার্চিল ও জোসেফ স্ট্যালিনের সাথে আলোচনা করে জাতিসংঘ গঠনে ভূমিকা রাখেন।

১৯৪৪ সালে তিনি চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। স্ত্রী ইলিনিয়ের রুজভেল্ট তার রাষ্ট্রনীতিসমূহ প্রণয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।

ইয়াল্টা সম্মেলন থেকে ফিরে আসার কয়েকদিন পরই ১৯৪৫ সালের ১২ এপ্রিল তিনি মারা যান।

Share this news on: