নতুন আলু বাজারে আসার বাকি এক মাস। কিন্তু এখনও রাজশাহীর হিমাগারগুলোতে মজুদ ৩১ লাখ বস্তা আলু। এ সময়ের মধ্যে মজুদ আলু বিক্রি না হলে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হবে চাষিদের। তাই দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই তাদের।
আর হিমাগার থেকে নভেম্বরের মধ্যে আলু বের করে নেয়া না হলে নষ্ট হওয়াসহ ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা হিমাগার মালিকদের। সমস্যা নিরসনে আলুর বিকল্প ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ ব্যবসায়ী নেতাদের।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আলু উৎপাদন হয় প্রায় ৯ লাখ ৫৬ হাজার টন। ভালো দামের আশায় এবার জেলার ৩৬টি হিমাগারে ৬২ লাখ আলুর বস্তা মজুদ করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
তবে বছরের শুরু থেকে খুচরা বাজারে আলুর দাম না পাওয়ায় মোট মজুদের ৩৫-৩৮ শতাংশ আলু এখনো রয়েছে হিমাগারে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মজুদের হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। এতে সংরক্ষিত এ আলুই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রায় আড়াই হাজার একর জমিতে আলুর চাষ কমেছে।
রাজশাহীর সরকার কোল্ডস্টোর মালিক মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, নতুন আলু ওঠার সময় ঘনিয়ে আসায় মজুদ করা আলু নষ্ট হবে, আর স্টোরেজ ব্যবস্থাপনায় বাড়বে ব্যয়।
রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রতি বছর আলু নিয়ে তৈরি বড় ধরনের আর্থিক সংকট কাটাতে বাড়াতে হবে আলুর বিকল্প ব্যবহার।
টাইমস/এইচইউ