কারখানায় এসেও ফিরে গেলেন শ্রমিকরা

মালিক-শ্রমিক ও সরকারের ত্রি-পক্ষীয় সমঝোতায় শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো ছয় গ্রেডে বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরদিনই সোমবার কাজে ফিরতে শুরু করেছে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

তবে এর মধ্যেই জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরণ এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করলেও পরে কারখানা থেকে বেরিয়ে যায় তারা। পরে ওই কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ একদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে।

সোমবার সকাল হতেই সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে দল বেঁধে শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

তবে বেলা ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশুলিয়ায় জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরন, এলাকার হামিম গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, এনবয় ও উইনডিসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদানের পর কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে। পরে তারা জামগড়া ছয়তলা এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

এদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

আশুলিয়ার প্রায় ৫০টি কারখানা থেকে শ্রমিকেরা কাজ না করে বেরিয়ে গেলেও কোথাও বিক্ষোভ বা সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেনি। তবে হামীম গ্রুপের সামনে শ্রমিকেরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। বর্তমানে পুরো আশুলিয়া এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নজরদারি করতে দেখা গেছে।

এর আগে, পোশাক শ্রমিকদের এক সপ্তাহের আন্দোলনের মুখে গতকাল সচিবালয়ে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে ছয় গ্রেডে ১৫ থেকে ৭৪৭ টাকা বৃদ্ধির মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত ডিসেম্বর থেকে এই কাঠামো কার্যকর হবে। ডিসেম্বরের বেতন হয়ে যাওয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া বাড়তি বেতন পাবেন শ্রমিকেরা।

এদিকে, বেতন বাড়ার পরও বের হয়ে যাওয়ার কারণ জানালেন দুই শ্রমিক। বললেন, বেতন বেড়েছে কারও এক হাজার টাকা, কারও ১২০০ টাকা। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল, মূল বেতন বাড়াতে হবে। তা কিন্তু বাড়েনি। মূল বেতন বাড়লেই কেবল ওভার টাইম বা অন্যান্য সুযোগ বাড়ে। কিন্তু তা হয়নি। এ জন্যই তাদের ক্ষোভ।

টাইমস/জেডআই 

Share this news on: