প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চাভিলাষী নয়: ফারুক মেহেদী

এবারের বাজেট সময়োপযোগী ও গতানুগতিক। মহামারী করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির মুখে। বিপর্যস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিও। প্রতিদিনই দেশে কর্ম হারাচ্ছেন হাজারো মানুষ। জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে ব্যর্থ হয়ে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহর ছেড়ে মানুষ এখন গ্রামে ছুটছেন। এমন পরিস্থিতি মাথায় রেখেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মরিয়া সরকার।

শনিবার রাতে অনলাইন ভিত্তিক এক বাজেট আলোচনায় সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক মেহেদী এ মন্তব্য করেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনোমিকস এলামনাই এসোসিয়েশন এ আলোচনার আয়োজন করে।

ফারুক মেহেদীর আলোচনার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

বাজেট নিয়ে আমি শুরুতেই বলতে চাই, করোনা মহামারীর এই বৈশ্বিক দুর্যোগে বিশ্ব অর্থনীতি যেখানে ধ্বসে পড়েছে। অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ঠিক রাখতে লকডাউন উঠিয়ে নিয়েছে। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি তাদের অর্থনীতির ক্ষতি হ্রাস করতেও উঠে পড়ে লেগেছে। বাংলাদেশও সেই কাতারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নিজেই দেশের সবকিছু তদারকি করছেন, তাতে এটা আশা করা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক থাকবে।

দেশের অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থেই বাজেট গতানুগতিক করা হয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের বাজেট বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে। সেসব দেশের বাজেট ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের। যার সঙ্গে বাংলাদেশের বাজেটের তুলনাই চলে না। কাজেই বাংলাদেশের বর্তমান প্রস্তাবিত বাজেটকে কোনো ভাবেই উচ্চাভিলাষী বলা যায় না। বরং বলা যেতে পারে, এবারের বাজেট দেশের অর্থনীতি বাঁচানোর বাজেট।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের যে জনশক্তি, মানুষের শ্রম দেয়ার যে সক্ষমতা, বেসরকারি অথবা সরকারি খাতে গত এক দশকে যে বিনিয়োগ হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে নিশ্চিত। আমাদের হয়তো এখনো ইউরোপ বা আমেরিকার মত বাজেট দেয়ার সক্ষমতা নাই, তাই আমাদের বাজেটটা অত বড় করা যায় না। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে, উন্নত দেশগুলোর মত আমাদেরও চাহিদা আছে। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নে অক্ষমতার কারণে আমরা বাজেট ছোট করি। এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নও করতেও আমরা এখনো পুরোপুরি সক্ষম নই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ মহামারী শুরুর দিন গুলো থেকে কঠোরভাবে পরিস্থিতি নজরে রেখেছেন এবং খুবই সংবেদনশীল ভাবে তিনি কিন্তু রেসপন্স করেছেন। এছাড়া প্রত্যেকটা খাতে সরকারের এক্সপোর্ট সেক্টর, এসএমই সেক্টর, সেফটি নেট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি খাতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নজর দিয়েছেন। তিনি দফায় দফায় স্ট্যামুলাইজ প্যাকেজ কিন্তু ঘোষণা করেছেন।

আমরা জানি যে, করোনার ধাক্কা সামলে নিতে প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মযজ্ঞের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সরকার এটা করেছে, করোনার প্রকোপ থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে, ক্ষুধা, দরিদ্রতা কমাতে প্রধানমন্ত্রী এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন।

অনুলিখন: রুহুল আমিন

 

টাইমস/টিএইচ/এসএন

Share this news on: