চীনের কাঁকড়ার বাজারে বাংলাদেশ

এশিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলিতে বাংলাদেশ বছরে হাজার হাজার টন কাঁকড়া রপ্তানি করে। এর মধ্যে চীনেই সিংহভাগ বিক্রি করে।

রপ্তানিকারকেরা বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলি থেকে কাঁকড়াগুলো সংগ্রহ করে।

তারা বলছে, দেশের আবহাওয়া, মাটি ও পানি কাঁকড়ার জন্য উপযোগী। এশিয়া অঞ্চলে এর প্রচুর চাহিদা আছে।

ঢাকার উত্তরার কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা বেলা ওঠার আগেই কাঁকড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ শুরু হয়। কাঁকড়াগুলোকে টুকরো টুকরো করে সাজিয়ে মোড়কজাত করে ঝুঁড়িতে রাখা হয়। এরপর দুপুরে সেগুলো রপ্তানির উদ্দেশ্যে ঝুঁড়িগুলো ট্রাকে লোড দেয়া হয়।

অনুপ নামে সেখানকার এক কর্মচারী বলেন, এই কাঁকড়াগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। তারা পুরুষ কাঁকড়াগুলো থেকে নারী কাঁকড়াগুলো আলাদা করেন। সেগুলোকে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণের করে বিদেশে পাঠান।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাঁকড়াগুলো বিভিন্ন মৎস্য খামার এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করি। সেগুলো মোড়কজাত করে মূলত চায়নাতে পাঠাই।

রপ্তানিকারক গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চীনের সাংহাইয়ে বড় আকারের পুরুষ কাঁকড়ার বিশেষ চাহিদা আছে। এজন্য সেখানকার ক্রেতারা আমাদের বড় চালান পাঠান।

অন্যদিকে চীনের অন্য প্রদেশগুলোর মধ্যে গুয়াংঝোতে নারী কাঁকড়ার চাহিদা বেশি।

এজন্য চীনসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁকড়া পাঠাতে নারী-পুরুষ কাঁকড়াগুলো বাছাই করা হয়।

শিল্প পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিনই ৩৫ থেকে ৪০ টন কাঁকড়া চীনে রপ্তানি হয়। এর ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।

 

Share this news on: