পাকিস্তানকে দেয়া এমএফএন সুবিধা প্রত্যাহার করে দেশটির সব ধরনের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করেছে ভারত। কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
শনিবার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
টুইটে অরুণ জেটলি বলেন, “পুলওয়ামা ঘটনার পর পাকিস্তানকে দেওয়া ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’র (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে ভারত। প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান থেকে ভারতে আমদানি করা সব ধরনের পণ্যের শুল্ক ২০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।”
এর আগে ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানকে দুই দেশের মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্যের জন্য বাণিজ্য অংশীদারদের এমএফএন সুবিধা দেয় ভারত।
ভারতীয় সরকার দাবি করেছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট চলার সময় এই সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তবে এনডিটিভি বলছে, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র দুইশ কোটি ডলারের কাছাকাছি হওয়ায় এই পদক্ষেপ অনেকটা প্রতিকী। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এর তেমন প্রভাব পড়বে না।
ভারত পাকিস্তান থেকে প্রধানত ফল, সিমেন্ট, চামড়া, রাসায়নিক ও মসলা আমদানি করে এবং দেশটিতে সুতিবস্ত্র, রঙ, রাসায়নিক, সব্জি, লোহা ও ইস্পাত রপ্তানি করে থাকে।
বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ। এ হামলার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪০ জন সদস্য নিহত হন।
এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায় দিয়ে দেশটিকে দেওয়া এমএফএন সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানকে ‘একঘরে’ করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার কথা ঘোষণা করে তারা।
টাইমস/এইচইউ