চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংক। ইতোমধ্যে ব্যাংক দুটিকে লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র (এলওআই বা লেটার অব ইনটেন্ট) দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এলওআইয়ের দেয়া শর্তগুলো বাস্তবায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানালে এরপরই পরিপূর্ণভাবে কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পাবে ব্যাংক দু’টি। এছাড়া এলওআই পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পিপলস ব্যাংক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় তিনটি ব্যাংককে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংককে এলওআই বা সম্মতিপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, পিপলস ব্যাংকের এলওআই দেয়া হয়নি। কারণ ব্যাংকটির প্রস্তাবিত উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। এটি যাচাই-বাছাই করার পর তাদের এলওআই দেয়া হবে।
অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের’ প্রধান উদ্যোক্তা হলেন বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ভাই। দেশে তাদের প্লাস্টিক শিল্পসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।
দ্য সিটিজেন ব্যাংকের মালিক বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক এবং পিপলস ব্যাংকের মালিক চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা আওয়ামী লীগের নেতা এম এ কাশেম।
ব্যাংক তিনটি কার্যক্রম শুরু করলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২টিতে। যার ১৪টি আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
টাইমস/এএস/এইচইউ