জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ইইউকে অনুরোধ বাণিজ্যমন্ত্রীর

ইউরোপে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সহযোগীতা করার অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘৫ম ইউরোপীয় ইউনিয়ন- বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’শীর্ষক সংলাপ শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধের কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউর বাজারে এখন আমরা জিএসপি সুবিধা পাই। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে আমরা এ সুবিধা পাব না। তাই আমরা ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা পেতে চাই। এ সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাদের ২৭টি কম্পোনেন্ট ফুলফিল করতে হবে। এসব কম্পোনেন্ট পূর্ণ করার ক্ষেত্রে ইইউর সহযোগিতা চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর, ফাইনান্সিয়াল ফ্লো, ইমপোর্ট ডিউটি কাস্টমস ট্রেড ফেসিলিটেশন, লাইসেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন দি সার্ভিস সেক্টর এবং ট্যাক্স রিজিম বিষয়ে ৫টি ওয়ার্কিং গ্রুপ করা হয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, এ ডায়ালগ ২০১৬ সালে শুরু হয়ে আজকে পঞ্চম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হলো। ইইউয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সমস্যা চিহ্নিত করে তা যুক্তিসঙ্গত সমাধানের জন্য গঠিত পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ করা হয়েছে। আগামী ৬ষ্ঠ রাউন্ড অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত এ গ্রুপগুলোকে সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই ওয়ার্কিং গ্রুপ পর্যালোচনা করে আগামী রাউন্ডে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ডায়ালগ আমরা বছরে দুটি করে থাকি। সুতরাং আগামী ৬ মাসের মধ্যেই তথা অক্টোবরে ‘ইইউ-বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ অনুষ্ঠিত হবে।

বাণিজ্যর ক্ষেত্রে সময় ঠিক রাখতে পারেন না জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে একটি বড় বিষয় উঠে এসেছে-সেটা হচ্ছে আমরা সময়টা ঠিক রাখতে পারি না। আমরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দেব। এ ছাড়া ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের সূচকে উন্নতি করা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে। অনস্টপ সার্ভিস দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে আইনি সংস্কার প্রক্রিয়া এখনও জটিল। নীতি কাঠামোর অনিশ্চয়তা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বল তদারকির মতো বাধাগুলো এখনও রয়েছে।

বিডার প্রশংসা করে রেন্সজে তেরিংক বলেন, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভালো কাজ করছে। বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। যদিও বাংলাদেশে এখনো সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আশাব্যঞ্জক নয়। এর নানা কারণও আছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকা বিমানবন্দর এ দেশের প্রধান গেটওয়ে হওয়া সত্যেও তা ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব নয়। নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরি ও তদারকির মাধ্যমে এ গেটওয়েকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল হক ,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও ইইউয়ের আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউ বিজনেস সেক্টরের নেতারা।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: