বেটার ওয়ার্ক ফর বাংলাদেশের জন্য তহবিলের পুনঃপ্রতিশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে অস্ট্রেলিয়া।
রোববার ঢাকার অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সহায়তার ফলে পোশাকশিল্পে কাজের পরিবেশ, নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেটার ওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ (বিডব্লিউবি) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি যৌথ প্রোগ্রাম। ২০১৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকার বিডব্লিউবিকে সহায়তা করছে। এখন এ প্রকল্প ১০টি কারখানার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৮ জন কর্মীর কাছে পৌঁছেছে, যারা ২২টি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বিডব্লিউবিকে নারীর ক্ষমতায়নে, যৌন নির্যাতন হ্রাস করতে এবং নারী-পুরুষে মজুরির পার্থক্য কমাতে সাহায্য করবে। এ প্রকল্প নারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও নিজেদের কণ্ঠ সোচ্চার করতে, শ্রমিক-মালিক কমিটিতে, ইউনিয়ন এবং কর্মী সংস্থায় নারীদের অংশগ্রহণে সহায়তা করবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিনিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা গর্বিত অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে যারা বিভিন্ন অংশীদারদের একত্রে করার, সবার জন্য কাজের প্রসার করা এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উন্নয়ন করার আমাদের এ দৃষ্টি ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপাল) ওয়েন্ডি ওয়ের্নার বলেন, অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সমর্থনে আমরা নেতৃত্ব পর্যায়ে মজুরি বৈষম্য কমিয়ে আনতে এবং তৈরি পোশাকশিল্পে নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করার কাজ অব্যাহত রাখবো। যারা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
টাইমস/এএস/জেডটি