ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল পরিমাণ কনটেইনার জমে জট সৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্দরের কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত জাহাজ থেকে খালাস হওয়া কন্টেইনারগুলোই জট তৈরি করেছে।
বিশেষ ব্যবস্থায় ঈদের ছুটিতেও বন্দরের সব বিভাগে কাজ চলেছে। কনটেইনার ডেলিভারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরাও কাজ করছেন। শুধু ঈদের দিন বুধবার ১২ ঘণ্টা ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ ছিল বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। তবে আমদানিকারকদের এজেন্টরা এ সময়ে ডেলিভারি নিতে আগ্রহী না হওয়ায় এ জট দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে এখন ছুটি চলছে। ঈদের আগে ৩ দিন ও পরে ৩ দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই পুরো সপ্তাহে পণ্য ডেলিভারি কমে যাচ্ছে। এতে কনটেইনারের জট সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে ৪০টির বেশি জাহাজ। জেটিতেও আছে কয়েকটি জাহাজ। জট সৃষ্টি হচ্ছে বেসরকারি ১৯টি ডিপোতেও। রপ্তানি পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউস। স্বাভাবিক অবস্থায় ইয়ার্ডে ৩০-৩৫ হাজার টিইইউস কনটেইনার থাকে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে পণ্যভর্তি পাঁচ হাজার আমদানি-রফতানির কনটেইনার ডেলিভারি হয়ে থাকে। শনিবার (১ জুন) ৩ হাজার ৬১৬ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। রোববার (২ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) পর্যন্ত এ সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, কনটেইনার জট কমাতে সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের ঈদের ছুটিতে এবং এর পরে পণ্য ডেলিভারি নিতে বলা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সবসময় ডেলিভারি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু ছুটিতে সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য নিতে অনাগ্রহী হওয়ায় বন্দরের ওপর চাপ পড়ে।
টাইমস/এইচইউ