গ্রামীণফোনের রাজস্ব বেড়েছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ

চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন মাস পর্যন্ত ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা আয় করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। যা ২০১৮ সালের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গ্রামীণফোন ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে জোর দিয়েছেন। নতুন সম্পূরক শুল্ক আরোপ হওয়ায় গ্রাহকসেবা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

ছয় মাসে ১৩ লাখ গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে কোম্পানিটির ৭ কোটি ৫৩ লাখে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে মোট গ্রাহক সংখ্যার ৫২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৭ পয়সা। ছয় মাসে গ্রামীণফোন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), কর, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৪০৯০ কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫৮ শতাংশ।

চলতি হিসাব বছরে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ।

একহাজার ৫৬০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন এবং নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গ্রামীণফোন বিনিয়োগ করেছে ৩৮০ কোটি টাকা। এর ফলে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৭৬টি।

 

টাইমস/এএইচ

Share this news on: