বাংলাদেশ থেকে ৭৪৪ টি পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে: ইআরএফ

বাংলাদেশ থেকে ৭৪৪ ধরণের পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল।

মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএসসি) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ শীর্ষক ওয়ার্কশপে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইআরএফ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে পোশাক শিল্প থেকে। আমরা মনে করি কেবল একটি পণ্যের ওপর এভাবে নির্ভরশীল হয়ে একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেয়া এখন সময়ের দাবি।

আমাদের পণ্য বহুমুখীকরণের বাঁধা কোথায়। সেটি নিশ্চয় সরকারের নীতি নির্ধারকদের অজানা নয়। তবে আমরা মনে করি ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহজীকরণের প্রতি আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষক বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। নতুন এই উদ্যোক্তাদের ৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। উদ্যোক্তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘চাকরি চাই না, চাকরি দিতে চাই’।

তিনি বলেন, সহজে ব্যবসা করার সূচকে উন্নতি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করতে হবে, তবে সেটা পোশাককে বাদ দিয়ে নয়। পোশাকে আমার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছি। আরো উন্নতির সুযোগ আছে। পাশাপাশি অন্য খাতের রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। পোশাকের মতো সব রপ্তানি খাত সমান সুযোগ পাবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, অতীতে আমরা সেই সুযোগ দিতাম না। এবার সে সুবিধা পাবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের গার্মেন্টসের পণ্যের বহুমুখীকরণ হয়েছে। পাশাপাশি গার্মেন্টস পণ্যের বাজারেরও বহুমুখীকরণ হয়েছে। আগে আমরা আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি করতাম, এখন বিশ্বের অনেক দেশে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।

তবে শিল্পের এক খাত থেকে যখন আমরা অন্য খাতে যাচ্ছি তখনই আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের শ্রমিক সংকট না হলেও ম্যানেজারের সংকট হয়। সেই অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা বাইরে থেকে ম্যানেজার আনি। আশা করি ভবিষ্যতে এ সংকট থাকবে না, বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট মাশরুর রিয়াজ ও বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ হোসনা ফেরদৌস প্রমুখ।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: