সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব রয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩০টি। এর বিপরীতে এক হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা করেছে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছর (২০১৮-১৯) শেষে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩০টি। এ সময় স্কুল ব্যাংকিং হিসাব সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪টি। অর্থাৎ এক বছরে হিসাব সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই সময়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের জমানো আমানত বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা।
এই হিসাবের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব রয়েছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫টি। বাকি হিসাব খোলা হয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে, যা স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মোট স্থিতির ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মাত্র ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ আমানত সংগ্রহ করতে পেরেছে।
শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হিসাব খুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। এই ব্যাংকে ৩ লাখ ৬৯ লাখ ৬২৩ জন শিক্ষার্থী হিসাব খুলেছে, যা মোট হিসাবের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অপরদিকে স্কুল শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রেখেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে। এখানে তারা আমানত রেখেছে ৪৬৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা মোট আমানতের ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মোট হিসাবের ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ খোলা হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ৬১ দশমিক ৩৭ শতাংশ খোলা হয়েছে শহরাঞ্চলে। গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলে স্থিতির পরিমাণ মোট স্থিতির যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৭৩ এবং ৭৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্কুল ব্যাংকিংয়ের মোট হিসাবে ছাত্র ও ছাত্রীর অনুপাত ৫৭:৪৩। ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং সেবাকে জনপ্রিয় করতে কোনো কোনো ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ২০১০ সালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয় উদ্বুদ্ধ করতে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেন। তবে শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১০ টাকা দিয়ে হিসাব খোলা হলেও পরে হিসাব খুলতে ১০০ টাকা জমা রাখতে বলা হয়। এসব হিসাব সাধারণ চলতি হিসাবে রূপান্তরের সুযোগও রাখা হয়েছে।
টাইমস/এএইচ/এসআই