হয়ে গেল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। এর আগের বছর স্বপদে বিজয়ী হয়েছিলেন তারা।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশার বিপরীতে লড়েছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। তিনি ১২৫ ভোট পেয়ে মিশা সওদাগরের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
তবে ফলাফল প্রকাশের আগেই মৌসুমী গণমাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই তার। অসাধারণ একটি পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে।
নির্বাচনের দিন মৌসুমীর ভাষ্য ছিল ঠিক এমন, বৃষ্টির কারণে ভোটার কম ছিল সকালে। তবে এখন খুব ভালোভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এমনকি ভোট সিকিউরিটিও অনেক ভালো। এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশেই ভোটগ্রহণ চলছে। প্রশাসনিক দিক থেকে আমরা প্রচণ্ড সহায়তা পাচ্ছি। অসাধারণ একটি পরিবেশ। আমরা শুটিংয়ে যেমন আড্ডা দেই তেমনটিই মনে হচ্ছে। বিশাল একটা আয়োজন। সব কিছু মিলে আজকের সব পরিবেশ স্বাভাবিক। কোনো অস্বাভাবিক অবস্থা এখনো চোখে পড়েনি।
তবে এবার সেই নির্বাচন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি। তিনি বলেন, খুব কড়াকড়ির মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি সোহেল রানা সাহেবের মতো মানুষকে মোবাইল ফোন রেখে ভোট দিতে হয়েছে। আমরাও ফোন রেখে ভোট দিয়েছি। কিন্তু বিকাল তিনটা নাগাদ অনেকেই মোবাইল নিয়ে ভোট দিয়েছেন। যেটা আসলে আইন বহির্ভূত। তারা ব্যালটে ছবিও তুলে এনেছেন। ভোট প্রয়োগের পর যদি ছবি তুলে কাউকে দেখাতে হয়, তাহলে তো আর ভোটারের স্বাধীনতা থাকে না। আমি মনে করি নির্বাচনে মোবাইলে যথেষ্ট কারসাজি হয়েছে।
ওমর সানি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রকৃত শিল্পীরা মৌসুমীকে ভোট দিয়েছেন।
তবে শিল্পী সমিতিতে আরো দুইটা অংশ রয়েছে, নৃত্য ও ফাইটশিল্পী। এদের মধ্যে ফাইট শিল্পীদের কোনো ভোট আমরা পায়নি। এরা নির্বাচনের সময় তাদের কীভাবে ম্যানেজ করেছে সেটা আমি বলতে চাই না। মৌসুমী হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল এটাই।
তারপরেও যারা বিজয়ী, তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। আশা করছি তারা আগামীতে ভালো কাজ করবেন।
শিল্পী সমিতির মোট ভোটার ৪৪৯ জন। এবারের নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছে ৩৮৫টি।
জানা গেছে, এই ভোটারদের মধ্যে ২২৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট।
টাইমস/জেকে/এসআই