বাউল সম্রাজ্ঞী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া দেশের করোনা পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়ায় গৃহবন্দী হয়ে গণমাধ্যমে সাহায্য চেয়ে বাঁচার আর্তনাদ করে যাচ্ছেন তিনি।
গণমাধ্যম মারফত জানা গেছে, তার ঘরে এখন কোন খাবার নেই, নেই ওষুধ কেনার টাকা।
দেশের একাধিক গণমাধ্যমকে নিজের অবস্থা জানিয়ে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বলেন, কতটা অভাবে দিনযাপন করছি সেটা বলে বোঝানো যাবে না। একমাস আগে কুষ্টিয়ার ডিসি অফিস থেকে ১০ কেজি চাল ও ১ কেজি আলু পেয়েছিলাম। সেটা শেষ হয়ে গেছে।
এক মাস ধরে ওষুধ কেনার টাকাও নেই। কেউ খোঁজও নেয় না। আমাকে বাঁচান আপনারা।
আমার ওষুধ কেনার ব্যবস্থা করে দেন। কয়দিন পর তো না খেয়ে মারা যাবো। কখন জানি দম ফুরাইয়া হাওয়ার পাখির মত উইড়া যায়।
কাঙ্গালিনী সুফিয়া দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, কিডনি ও ব্লাড প্রেশারের সমস্যায় ভুগছেন।
লালন সাঁইজীর আখড়ায় গান গাইতে গিয়ে মেয়ে ও তার ছেলে নিয়ে কুষ্টিয়ায় আটকা পড়া বাউল সম্রাজ্ঞী আরও জানিয়েছেন, খাবার টাকা না দিলেও আমাকে ওষুধের টাকা হলেও কিছু দিতে বলেন সরকারকে। একমাস হয় ওষুধ কিনতে পারছি না। আশা করবো, আগের মতো এখনও সরকার আমার পাশে দাঁড়াবেন।
কাঙ্গালিনী সুফিয়া ১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় তার নাতি, মেয়ের জামাই থাকেন।
কাঙ্গালিনী সুফিয়া প্রায় ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। গান রচনা করেছেন প্রায় ৫০০টি।
তার বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে ‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই’, ‘পরাণের বান্ধব রে’, ‘বুড়ি হইলাম তোর কারণে’, ‘নারীর কাছে কেউ যায় না’, ‘আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া’ প্রমুখ।
টাইমস/জেকে