ভক্তদের জন্য সিদ্ধান্ত পাল্টালেন ব্রিটনি!

ব্রিটনি স্পিয়ার্স। বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি ‘পপ আইকন’ হিসেবে সুপরিচিত। নব্বই দশকের শেষদিকে ব্রিটনি পপ গানকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় আর সমাদৃত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
এর আগে অবশ্য মিসিসিপির ম্যাককম্বে জন্ম নেওয়া ও লুইজিয়ানার কেন্টউডে বেড়ে ওঠা এই শিল্পী প্রথমে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করতেন।

পরে ১৯৯৭ সালে ব্রিটনি জিভে রেকর্ডসের সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তার প্রথম দুটি অ্যালবাম ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ (১৯৯৯) ও ‘ওপ্‌স’! এই দুটি এ্যালবাম এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, এরপর ব্রিটনি পুরো বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন।

এদিকে, ১৯৯০ এর শেষের দিকে তিনি পপ গানকে পুনরুজ্জীবিত করতে দারুণ ভূমিকা রাখেন। এরপর টিনেজ গায়িকা হিসেবে পুরো বিশ্বে সমাদৃত এই গায়িকা ‘প্রিন্সেস অব পপ’ খেতাব লাভ করেন। মূলত তার কাজের প্রাপ্তি হিসেবে তিনি এই খেতাব অর্জন করেছিলেন।

এছাড়া ক্যারিয়ারে ব্রিটনি বহু পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, একটি গ্র্যামি পুরস্কার, আজীবন সম্মাননাসহ ছয়টি এমটিভি ভিডিও মিউজিক পুরস্কার, বিলবোর্ড মিলেনিয়াম পুরস্কারসহ দশটি বিলবোর্ড সঙ্গীত পুরস্কার।

এত কিছুর পরও ব্রিটনি ভক্তদের জন্য এবার নেমে আসলো দুঃখের সংবাদ। আর কখনোই নাকি গানের পারফর্ম করবেন না প্রিয় এই শিল্পী। এমন খবর জানিয়েছে খোদ ব্রিটনির ম্যানেজার নিজেই।

তার ব্যক্তিগত ম্যানেজার ল্যারি রুডলফ জানান, আমার জীবনের অর্ধেক সময় আমি ব্রিটনির দেখাশোনার জন্য ব্যয় করেছি। শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে আছি। সে অনেকটা আমার মেয়ের মতো।

কিন্তু বর্তমানে ব্রিটনি মানসিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত। যে কারণে লাস ভেগাসে বসবাসরত তার পছন্দের বাড়িটিও তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে রুডলফ জানান, ব্রিটনির বাবা জ্যামি স্পিয়ার্স তার জীবনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি অনেকটা শিল্পীর জীবন বিষিয়ে তুলছেন। এই নিয়ে লসএঞ্জেলসের আদালতে নাকি মামলাও চলছে।

তবে ব্রিটনির পক্ষে সবসময় কথা বলেছেন তার মা লিন। আদালতেও নাকি তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

এদিকে, ব্রিটনির এমন সিদ্ধান্তের পরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের মাঝে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান। ভক্তদের এমন দাবির মুখে গত শুক্রবার তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। জানান, অবশ্যই তিনি আবারো গাইবেন, পারফর্ম করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ব্রিটনি বাবা জেমি স্পিয়ার্সের সঙ্গে তার মা লিন স্পিয়ার্সের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে মেয়ের সঙ্গে বেশি থাকছেন মা।

 

টাইমস/জেকে/জেডটি

Share this news on: