টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর ছোট ভাই জাহেদুল ফারুক দীপু (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দীপুর লাশ উদ্ধার করেছে আদাবর থানার পুলিশ। জানা গেছে, মৃত্যুর আগে নাকি অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, দীপুর বাসায় থাকতেন তার স্ত্রী ডলি ও চার বছর বয়সী ছেলে অংশ। দীপু টমেটো ওয়েব নামক একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পাশাপাশি গান গাইতেন, নাটক ও টেলিছবির আবহ সংগীত করতেন।
দীপু মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটও লিখে গেছেন। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। অংশ তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি।’ তবে কী কারণে দিপু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান মসজিদে দীপুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেই কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হয়। ভাইয়ের দাফনে উপস্থিত ছিলেন বড় ভাই অপূর্ব নিজেই। তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, শুনেছি, গতকাল রাতে ও অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল দীপু। তার বিয়ে হয় সাত বছর আগে। এরপর থেকে আমাদের সঙ্গে থাকতো না সে।
দীপুর মৃত্যু প্রসঙ্গে আদাবর থানার উপপরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, দীপুর পরিবার আমাদের জানিয়েছে, অনেকক্ষণ দীপুর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ স্টুডিওর দরজা ভাঙা হয়। তখনই দীপুর স্ত্রী তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে ভোরে দীপুর লাশ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দীপুর মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
টাইমস/জেকে/জেডটি