অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ

প্রযুক্তি দিন দিন উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনও হয়ে উঠছে গতিময় ও আরামদায়ক। কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদই কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।

অনেকেই রাস্তার কোলাহল কিংবা শব্দ এড়াতে কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ব্যায়াম করতে গিয়ে, দৌড়াতে গিয়ে, এমনকি বাসে ভ্রমণে সব জায়গাতেই কানে এয়াফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়।

রাস্তায় বের হয়ে কানে হেডফোন গুঁজে গান শোনা যেন এখন একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ হেডফোন এমন একটি প্রযুক্তি, যার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ারফোনে উচ্চ শব্দে গান শুনলে পরবর্তীতে কানে শুনতে সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন এয়ারফোন ব্যবহার করলে কানে ব্যথা, কানে অস্বস্তি, জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এয়ারফোন ও হেডফোন ব্যবহারের কারণে বিশ্ব জুড়ে তরুণদের মধ্যে কানে সমস্যা বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এয়ারফোন বা হেডফোনে শব্দের মাত্রা কখনোই ৬০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এছাড়া প্রতি ৩০ মিনিট পর পর এয়ারফোন কান থেকে সরানো উচিত। একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহার করা ঠিক নয়।

চলুন জেনে নেয়া যাক হেডফোন ব্যবহারের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া-

শ্রবণ জটিলতা
হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে সরাসরি অডিও মানুষের কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি মানুষের কানে যায়, তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে। শুধু তাই নয়, ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

বাতাস প্রবেশে বাধা
এয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরও বেশি হয়।

কানে ইনফেকশন বা প্রদাহ
ইয়ারফোন কারও সঙ্গে ভাগাভাগি না করাই ভালো। এতে সহজেই কানে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই আপনার কানে সংক্রমিত হতে পারে।

মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব
হেডফোন থেকে সৃষ্ট ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি।

কানে ব্যথা
যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এ সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।

শ্রবণশক্তির জড়তা
সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: