ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যাতে কমবেশি সবাই দুই একবারের জন্য হলেও ভোগে। এটি যখন হয় তখন মল কঠিন হয়ে যায় এবং মলত্যাগ অনিয়মিত হয়ে পরে। কোষ্ঠকাঠিন্যকে অবহেলা করলে তা থেকে প্রচণ্ড ব্যথা কিংবা অর্শরোগ হতে পারে এবং পায়ুপথ ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

পানি স্বল্পতা, খাদ্য আঁশের অভাব, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রভৃতি কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য আপনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিছু ঘরোয়া টোটকা আপনাকে এর থেকে দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করবে।

ঝোলাগুড়
রাতে ঘুমাতে যাবার পূর্বে এক টেবিল চামচ ঝোলাগুড় খেলে সকালের মধ্যেই সুফল পাওয়া যায়। সম্প্রতি জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলোজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে ঝোলাগুড়ের এই কার্যকারিতার কথা উঠে আসে। এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজে লাগে।

লেবু পানি
লেবু পানিতে সাইট্রিক এসিড থাকে, যা আমাদের দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পান করলে সারাদিন শরীর আদ্র থাকে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবার সম্ভাবনা থাকেনা বললেই চলে। এছাড়াও শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইট্রিক এসিড সরবরাহ হয়।

কফি
কোলন বা মলাশয় উত্তেজিত করার মধ্য দিয়ে কফি আপনার বাথরুমে যাবার সময় দ্রুত করে। এছাড়াও ভেষজ চা বা এক গ্লাস গরম পানির মতো অন্যান্য গরম পানীয় আপনাকে একইভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সাহায্য করবে।

আঁশযুক্ত খাবার
খাদ্য আঁশ পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে, এটি খাদ্য ও বর্জ্য পদার্থগুলো হজম নালি থেকে টেনে বের করে আনে এবং পানি শুষে নেয়। বিন, অটমিল, আলমন্ড, সবজি এবং তাজা ও শুকনো ফলে প্রচুর খাদ্য আঁশের উপস্থিতি থাকে। ফাইবার বা খাদ্য আঁশ মলত্যাগ নিয়মিত ও বাধাহীন করে।

ক্যাস্টর অয়েল
এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসা কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশম। ক্যাস্টর অয়েল জোলাপ বা পিচ্ছিল কারক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং খালি পেটে এক বা দুই টেবিল চামচ খেয়ে নিন; আট ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল পেয়ে যাবেন। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: