কেন আতা ফল খাবেন?

স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমানে অনন্য আতা ফলের গুণের শেষ নেই। এটি একটি সুপরিচিত ও সুস্বাদু ফল। আতা অ্যানোনেসি পরিবারভুক্ত এক ধরনের যৌগিক ফল। এই ফলটিকে বাংলায় ‘আতা’, ‘শরিফা’, ‘নোনা’- এই তিনটি নামে ডাকা হয়। এখন আতা ফলের মৌসুম, চলুন জেনে নিই আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

  • আতা ফল আলসার ও অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে।
  • এতে থাকা মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গায়ের ত্বককে করে তোলে কোমল, যা তরল ফাউন্ডেশন অপেক্ষা উত্তম।
  • চোখ ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
  • এতে থাকা বায়োঅ্যাক্টিভ অণুগুলো ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও মিষ্টি এই ফলটিতে রয়েছে আরও অনেক গুনাগুণ, যা একে সুপারফুড হয়ে ওঠার দাবিদার করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে-

  • আতা ফল স্বাস্থ্যকর খাবার সমূহের তালিকায় অগ্রগণ্য, কারণ এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি রয়েছে। এছাড়াও এটি কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি ফল।
  • ফলটি একইসঙ্গে ভিটামিন বি-৬ এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা আমাদের দেহে ডোপামিন ও সেরোটিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
  • এই বিশেষ ফলটিতে প্রদাহনাশক অনেক উপাদান বিদ্যমান, যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো ভয়ানক রোগ থেকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম।
  • আতা ফল খেলে অকাল বার্ধক্য রোধ হয়। এটি মুখে দাগ ও বলি রেখা দূর করতে বিশেষ সহায়ক। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: