শীতে সুস্থ থাকার কয়েকটি পরামর্শ

শীত এলেই ইচ্ছে হয় অবসর সময়টুকু অলস শুয়ে-ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে। কিন্তু এই শীতে ভিন্ন কিছু করুন। অলসতার হাতছানি পরিহার করুন, শরীরকে খাটান। তাহলে বসন্তের আগেই হাতে হাতে ফল পেয়ে যাবেন।

চলুন জেনে নিই শীতে সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞদের দেয়া কয়েকটি পরামর্শ-

খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু রাখুন
আমাদের দেশে শীতকালে মিষ্টি আলু খুবই সহজলভ্য। আপনি প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে মিষ্টি আলু যোগ করে নিন। একটি মাঝারি আকারের মিষ্টি আলুতে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি ও আয়রনের পাশাপাশি মিষ্টি আলুতে আপনি পাবেন প্রায় ৪গ্রাম পরিমাণের ফাইবার। একইসঙ্গে এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যাটাক্যারোটিন সমৃদ্ধ।

দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন গড়ুন
দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হলে নিজেকে টোটাল পার্সন হিসেবে গড়ে তুলুন। দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক, পুষ্টিগত, সাংগঠনিক প্রভৃতির যে কোনো একটি বিষয়ে নিজেকে উন্নত করুন।

যেমন- আপনি অনুভূতির কথা লিখে রাখার মধ্য দিয়ে নিজের অনুভূতিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে নেতিবাচক ভাবনাগুলোকে আপনি ইতিবাচকতায় বদলে দিতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,‍ ‌‘আমাকে ওভারটাইম করতে হবে’ না ভেবে ভাবুন ‘আমি ওভারটাইম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ আমি দেনার টাকা শোধ করতে চাই।’

ঘরের বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করুন
গৃহের অভ্যন্তরের শরীরচর্চা বাদ দিন। বাইরে গিয়ে শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আপনার পছন্দসই শরীরচর্চায় নিজেকে নিয়োজিত করুন। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বয়ে আনবে নানাবিধ সুফল। একইসঙ্গে আলোতে ঘোরাফেরার কারণে আপনার মনও ভালো হয়ে যাবে।

চোখের সুরক্ষা
শীত কিংবা গ্রীষ্ম চোখের সুরক্ষা নিতে হবে নিয়মিত। ঘরের বাইরে রোদে ঘোরাঘুরির সময় চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সানগ্লাস আমাদের চোখ দুটিকে প্রতিমুহূর্তে সূর্যের অতিক্ষতিকর ইউভিএ ও এউভিবি থেকে রক্ষা করে।

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হোন
ভালোবাসার মৌসুমে নিজেকে নিয়ে সচেতন হন এবং আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের হালচাল হালনাগাদ করে নিন। ডাক্তারের সহায়তায় রক্তচাপ, উচ্চতা, ওজন, কোমরের পরিধি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করুন। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন।

ঠাণ্ডা থাকুন
শীতের সন্ধ্যায় ঘরের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়িয়ে নেয়ার ইচ্ছা পরিত্যাগ করুন। ভালো ঘুমের জন্য রুমের আদর্শ তাপমাত্রা হলো ৬৫ থেকে ৭৫ ফারেনহাইট বা ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাই খুব বেশি লেপ- কম্বল গায়ে জড়িয়ে নেয়ার বাসনা থেকেও নিজেকে মুক্ত রাখুন।

রেড ওয়াইন
রাতের খাবারের পর হালকা করে রেড ওয়াইন পান করতে পারেন। রেড ওয়াইন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে গর্ভাবস্থায় এটি পান করা যাবে না। কিংবা অন্য কোনো কারণে অ্যালকোহল যদি আপনার জন্য নিষিদ্ধ হয় তাহলে রেড ওয়াইন পানে বিরত থাকুন। তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: