দেখতে আকর্ষণীয় চেরি ফল গুণেও এগিয়ে

চেরি ফল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় গুণেও এগিয়ে। হলকা টক মিষ্টির এ ফলটির আকৃতি কিছুটা অরবড়ই-এর মত। দেহ সামান্য খাঁচযুক্ত। কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পরে হালকা হলুদ এবং সর্বশেষ গাঢ় লাল রং ধারণ করে। গাছের আকৃতি মধ্যম মানের।

চেরি হচ্ছে ‘প্রুনাস’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি ফল ৷ বানিজ্যিকভাবে যে চেরির জাত চাষ করা হয় তা মূলত Prunus avium (প্রুনাস অভিয়াম)। বুনো চেরি ফসলি মাঠে চাষের অযোগ্য। যদিও ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জতে Prunus avium কে বুনো চেরি বলা হয়।

পুষ্টিবিদের মতে- বিভিন্ন খাবার, কেক, পেস্ট্রির সৌন্দর্য বর্ধনে চেরি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চেরি শুধু সুন্দর ফলই নয়, পুষ্টিগুণেও চেরি অনন্য। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য চেরি ফলে রয়েছে- ক্যালরি ৬৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফোলেট ৪ গ্রাম, ভিটামিন-সি ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ৬৪০ আইইউ, ভিটামিন-কে ২ গ্রাম, পটাশিয়াম ২২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম এবং ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম।

খাদ্য বিজ্ঞানীদের মতে, টার্ট চেরি ডায়াবেটিস চিকিৎসায় উপকারী। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্থোসায়ানিন ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এ তো গেল তাত্ত্বিক কথা; আসুন জেনে নেই নিয়মিত চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে যেসব রোগ এড়ানো যায়-

ঘুম ভালো রাখতে
যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা চেরি ফল খেতে পারেন। চেরি খেলে ঘুম ভালো হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে চেরির জুস খেয়ে ঘুমালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস সুরক্ষায়
ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন। চেরি ফলে থাকা উপাদানগুলো রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

পেটের চর্বি কমায়
নিয়মিত চেরি খেলে পেটে চর্বি জমে না। ওজন কমাতে চাইলে এই ফলটি খেতে পারেন।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
যারা স্মৃতি-দুর্বলতায় ভুগছেন, তাদের জন্য চেরি উপকারী। এটি আলঝেইমারের প্রকোপ কমায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে।

হৃৎস্বাস্থ্য সুরক্ষায়
হৃৎস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চেরি খুব কার্যকর। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা সহনীয় রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

বয়স ধরে রাখে
চেরির উপাদানগুলো কোষের ক্ষয় রোধ করে। সেই সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। তাই নিয়মিত চেরি খেলে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।

হাড় ভালো রাখতে
হাড়ে ব্যথা কিংবা হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা কিংবা এসব স্থান ফুলে গেলে খেতে পারেন চেরি। দ্রুত আরোগ্য হবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: