কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমাবেন কী করে?

কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পরে বিশ্বজুড়েই অফিস-কারখানা, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কিংবা দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে, আমাদের দেশেও চিত্রটা একইরকম। ফলে রোজগারের তাগিদে অনেককেই বাইরে যেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাই এমন পরিস্থিতিতে বাইরে গেলে আক্রান্ত হবার প্রচণ্ড রিস্ক বা ঝুঁকি থাকে। তাই আপনাকে অবলম্বন করতে হবে বাড়তি সতর্কতা।

আসুন জেনে নিই কিভাবে এই রিস্ক বা ঝুঁকি কম করা যেতে পারে

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

এই মুহূর্তে যথা সম্ভব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যেমন বাস বা ট্রেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে, টেক্সি বা মোটরসাইকেল রাইডও এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে থাকতে হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সর্বোত্তম পন্থা। এই পরিস্থিতিতে আপনি হেঁটে, সাইকেলে বা নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করে অফিসে যেতে পারেন।

অন্যান্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন

  • আপনার ভ্রমণের আগে ও পরে সাবান-পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত ধুয়ে নিন বা কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
  • আপনার হাত দিয়ে আপনার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না।
  • আপনার কাশি এবং হাঁচি ঢেকে রাখুন, এক্ষেত্রে টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহৃত টিস্যুগুলি ডাস্টবিনে বা নিরাপদ স্থানে ফেলে দিন এবং আপনার হাত ধুয়ে নিন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
  • আপনার এবং আপনার পরিবারে সদস্য নয় এমন লোকদের মধ্যে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। (প্রথমদিকে ৩ ফুট বলা হলেও এখন ৬ফুট দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে)
  • নিজের এবং অন্যদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সক্ষম না হলে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। বাইরে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • আপনার ঠাণ্ডা জ্বর বা কাশির লক্ষণ দেখা দিলে বা আপনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এসে থাকলে থাকলে বাড়িতেই থাকুন।
  • আপনি যদি বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী হন বা আপনার যদি অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা থেকে থাকে তাহলে যথা সম্ভব ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করুন।
  • আপনার শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস জাতীয় দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে থাকলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসা সামগ্রী একটি ব্যাগে করে সাথে নিয়ে বাইরে যাবেন।
  • যদি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতেই হয় বা রাইড শেয়ার ছাড়া উপায় না থাকে তাহলে যথা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: