“তৃষ্ণায় গলা-বুক শুকিয়ে যাচ্ছে, পানিও দিচ্ছে না ওরা”

‍“শ্বাস নিতে পারছি না আমি। পানির তৃষ্ণায় গলা-বুক শুকিয়ে যাচ্ছে। এখানে পানির কোনো ব্যবস্থাই নেই। আমাকে অন্য কোথাও নিয়ে যান”- মৃত্যুর আগে কোভিড-১৯ রোগীর এমন একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। যদিও ভিডিওটি পরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

করোনাকালে ভারতে একের পর এক এ রকম হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটছে। এবার দেশটির উত্তর প্রদেশে মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে কোভিড-১৯ রোগীর এমনই একটি অডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আর সাহায্য চাইছেন এক রোগী। যা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে নানা মহলে।

সূত্র জানায়, এ ঘটনা ঝাঁসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্টারনেটে। সেখানে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছেন একজন রোগী। জানাচ্ছেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে পানি চেয়েও পাননি। হাসপাতালের অব্যবস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন ওই রোগী।

এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। ঠিক কোন সময়ে কে বা কারা ভিডিওটি ধারণ করেছেন এবং তার কতক্ষণ পরে ওই কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়, এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

ঝাঁসির চিফ মেডিক্যাল অফিসার জি কে নিগম বলেছেন, ওই ব্যক্তি দিনকয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকেই ছিল। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়েও কোভিড পজিটিভ। তাদের চিকিৎসা চলছে অন্য হাসপাতালে। তবে এই ভিডিওর ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে চাননি। অভিযোগ কতটা সত্যি, সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি তিনি।

এর আগে রোববার প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতাল চত্বরের ঝোপ থেকে এক কোভিড রোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ৫৭ বছরের ওই রোগীর পরিবার হাসপাতালের চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সেখানে দেখা যায়, রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছেন। এর পরেই তার লাশ উদ্ধার করা হয় একটি ঝোপের ভেতর থেকে। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল ওই রোগীকে। সে কারণেই তিনি বেরিয়ে যাচ্ছিলেন।

হায়দরাবাদের একটি কোভিড কেয়ারসেন্টারের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠেছিল জুন মাসে। মৃত্যুর আগে ৩৪ বছরের এক করোনা রোগী সেলফি ভিডিও তুলেছিলেন। সেখানে ওই যুবককে বলতে শোনা গিয়েছিল, “তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা নেই। অক্সিজেন সাপোর্ট সরিয়ে নিয়েছেন ডাক্তাররা।”

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ