যা দেখে বুঝবেন আপনার শিশু নিওমোনিয়ায় আক্রান্ত

বিশ্বজুড়ে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারন ‘নিওমোনিয়া’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই বয়সের শিশুদের মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশের জন্য দায়ী এই রোগ।

নিওমোনিয়া শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ জনিত রোগ। যা ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ফলে ফুসফুসে প্রদাহ দেখা দেয়। বিশেষত ২ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী লোকেদের এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।

প্রধানত ভাইরাস সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণের মধ্যদিয়ে নিওমোনিয়া হতে পারে।

এ রোগের উপসর্গ অনেকটা ফ্লু বা ঠান্ডা জ্বরের মতো হওয়াই অনেকেই সঠিক সময়ে নিউমোনিয়া শনাক্ত করতে ভুল করেন। সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর বা ফ্লুয়ের মতো হলেও নিওমোনিয়া দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। এবার আসুন জেনে নিই-

নিওমোনিয়ার উপসর্গ সমূহ:

  • সর্দি বা ঘামের সাথে প্রচণ্ড জ্বর।
  • কাশি, সঙ্গে শ্লেষ্মার উপস্থিতি।
  • প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করার সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
  • বুকে ব্যথা, যা কাশি হওয়ার সময় যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • ক্ষুধামান্দ্য বা খিদে না পাওয়া।
  • হৃৎস্বন্দন বেড়ে যাওয়া।
  • বমি বমি ভাব, বমি এবং ডায়রিয়া।
  • মাথা ব্যথা এবং ক্লান্তি।

নিওমোনিয়া ও ফ্লুয়ের পার্থক্য

নিওমোনিয়া এবং ফ্লুয়ের উপসর্গগুলির মিল থাকলেও নিওমোনিয়ার ক্ষেত্রে উপসর্গের তীব্রতা থাকে। যেমন নিওমোনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির প্রচণ্ড জ্বর হতে পারে, যা ফ্লুয়ের ক্ষেত্রে হয় না। এছাড়া নিওমোনিয়ার উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী এবং সময়ের সাথে তীব্রতর হতে থাকে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ