ডায়াবেটিসের সঙ্গে ব্যাকপেইনের সম্পর্ক

অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষকের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিসের সঙ্গে ব্যাকপেইনের সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকদের মতে, যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের থেকে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যাকপেইনের ঝুঁকি বেশি।

ব্যাকপেইন বলতে বুঝায়, মেরুদণ্ডে ব্যথা অনুভব করা। এক্ষেত্রে মেরুদণ্ডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে- মিডল ব্যাকপেইন, লোয়ার ব্যাকপেইন ও কক্সিডাইনিয়া।

গবেষণায় দেখা যায়, যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীদের মেরুদণ্ডের নিম্ন অংশে ব্যথা তথা লোয়ার ব্যাকপেইনের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ এবং ঘাড়ের ব্যথার ঝুঁকি ২৪ শতাংশ বেশি।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে ব্যাকপেইনের সামঞ্জস্যহীন এই উচ্চমাত্রার সম্পর্ক নির্ণয় করতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকরা পূর্ববর্তী আটটি গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করেছেন। যদিও তারা এই দুটির মধ্যে সরাসরি কার্যকরণসম্বন্ধীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বোন অ্যান্ড জয়েন্ট রিসার্চ এর সহযোগী অধ্যাপক এবং প্রবীণ গবেষক ম্যানুলা ফেরেইরা বলেন, যেকোনভাবেই হোক ডায়াবেটিসে সঙ্গে মেরুদণ্ডের নিম্ন ভাগের ব্যথা ও ঘাড় ব্যথার সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এটা স্পষ্ট নয় যে, কীভাবে এটা সম্পর্কিত। তবে এই গবেষণার ফলাফল বলছে- এই সম্পর্ক উদঘাটন করতে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং লোয়ার ব্যাকপেইন এই দুটির সঙ্গেই স্থূলতা ও শারীরিক সক্রিয়হীনতার সম্পর্ক রয়েছে। তাই ডায়াবেটিসের সঙ্গে ব্যাকপেইনের সম্পর্ক নির্ণয় করতে এই উপাদানগুলো নিয়ে গবেষণা করতে হবে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে যে, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও শারীরিক সক্রিয়তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রধান নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখে।

বিশ্বে প্রায় ৩৮২ মিলিয়ন লোক টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যেখানে তাদের অধিকাংশই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে লোয়ার ব্যাকপেইন ও ঘাড়ে ব্যথার সমস্যায় ভুগতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: