গর্ভবতীকালে ভিটামিন অটিজমের ঝুঁকি কমাবে

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভধারণের শুরুতে তথা প্রথম মাসেই ভিটামিন খেলে গর্ভের শিশু অটিজমে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমে যাবে।

গবেষকরা ২৪১ জন শিশুর উপর এই গবেষণাটি করেছেন, যাদের পূর্ববর্তী বড় ভাই বা বোন অটিজমে আক্রান্ত ছিল এবং তাদের ক্ষেত্রেও অটিজম হবার ঝুঁকি ছিল। গবেষকরা ছয় মাস বয়স থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত এই শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশ পর্যবেক্ষণ করেছেন।

একই সঙ্গে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এসব শিশুর মায়েদের গর্ভকালীন ভিটামিন গ্রহণের অভ্যাস সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেন।

গবেষণায় দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেয়া শিশুদের প্রতি চারজনে একজন অটিজমে আক্রান্ত হয়েছে। একই ধরণের ফলাফল দেখা যায় পূর্বের একটি গবেষণায়, যেখানে ছোট ভাই-বোনের অটিজম হবার ঝুঁকি ছিল প্রতি পাঁচজনে একজন।

তবে এই গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর মায়েরা গর্ভের শুরুর দিকে অর্থাৎ প্রথম মাসে ভিটামিন খেয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে অটিজমের ঝুঁকি ছিল ১৪.১ শতাংশ। অন্যদিকে যে মায়েরা গর্ভধারণের শুরুতে ভিটামিন খায়নি, তাদের শিশুদের ক্ষেত্রে অটিজম হবার ঝুঁকি ছিল ৩২.৭ শতাংশ।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এই নতুন গবেষণায় আরও দেখা গেছে- যেসব মা গর্ভবতীকালে অধিক হারে ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন খেয়েছেন তাদের শিশুদের ক্ষেত্রেও অটিজম হবার ঝুঁকি অনেক কম।

তাই যেসব মায়ের সন্তানদের অটিজম হবার ঝুঁকি রয়েছে তারা গর্ভবতীকালে অধিকহারে ভিটামিন, ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন খেলে সন্তানের অটিজম হবার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।

‘JAMA Psychiatry’ জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, গর্ভধারণকালে ভিটামিন খাওয়ার পরও যদি ওই মায়ের শিশু অটিজমে আক্রান্ত হয়, তবুও তার বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য জটিলতা কম হবে এবং জ্ঞান-সম্বন্ধীয় সামর্থ্য বেশি হবে।

বিশ্বব্যাপী শিশুদের মারাত্মক একটি স্বাস্থ্য সমস্যা অটিজম। শিশুর অটিজম প্রতিকারের চিকিৎসা নেই বললেই চলে। তাই গর্ভধারণের পূর্ব থেকেই বাবা-মাকে সচেতন হবে, যাতে শিশুর অটিজম প্রতিরোধ করা যায়।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: