সবুজ পরিবেশে শৈশব কাটালে মানসিক ঝুঁকি কম

যেসব শিশু প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের শৈশব কাটায়, পরবর্তী জীবনে তাদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক জটিলতা হবার ঝুঁকি ৫৫ শতাংশ কম। এজন্য শিশুদের সুস্থ-স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য সবুজ এবং স্বাস্থ্যসম্মত নগরী গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকরা।

‘পিএনএএস’ জার্নালে প্রকাশিত ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে শহরে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার অধিকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৫০ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত স্যাটেলাইটে সংরক্ষিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা দশ লাখেরও বেশি ডেনিশ অধিবাসীদের শৈশবকালীন বাড়ি-ঘরের পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় এসব অধিবাসীদের পরবর্তী জীবনে ১৬টি মানসিক জটিলতার সম্পর্ক নিয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, শৈশবে সবুজ পরিবেশ বেষ্টিত প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসের ফলে পরবর্তী জীবনে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়ার ঝুঁকি ৫৫ শতাংশ কম হয়।

আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস্টিন অ্যাঞ্জিম্যান বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে জন্ম থেকে দশ বছর বয়স পর্যন্ত যত বেশি সবুজ পরিবেশে বসবাস করা যাবে, পরবর্তী জীবনে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা দেয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কম হবে।

তিনি বলেন, গবেষণার এই ফলাফল প্রমাণ করে সবুজ পরিবেশ আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য। কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রভাব আমাদের ধারণা থেকেও বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দিন দিন শহরে বসবাসকারী জনসংখ্যার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। তাই একটি টেকসই নগর পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য নগরবাসীর সুস্থ ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্বের প্রতিটি নগরীকে সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ দ্বারা গড়ে তুলার আহবান জানিয়েছেন গবেষকরা।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on: