বহু রোগের যম নাশপাতি

নাশপাতি, খেতে কচমচে আর নরম। যাকে ইংরেজিতে পিয়ার ফল বলা হয়। এটি কেবল খেতেই সুস্বাদু নয় পুষ্টিতেও ভরপুর। নাশপাতি রোজাসিয়ে পরিবারের পাইরাস গণভুক্ত উদ্ভিদ ও তার ফলবিশেষ। ফলটি সাধারণত রসালো। তবে এ ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ।

পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একটি মাঝারি আকারের (১৭৮ গ্রাম) নাশপাতি ফলে রয়েছে- ক্যালোরি ১০১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২৭ গ্রাম, আঁশ ৬ গ্রাম, ভিটামিন সি- দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ, ভিটামিন কে ৬ শতাংশ, পটাশিয়াম ৪ শতাংশ এবং কপার ১৬ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নাশপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, বি ২, ই, ফলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিন নামের পুষ্টিকর উপাদান। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ অন্যান্য মিনারেলেরও উৎকৃষ্ট উৎস।

চলুন জেনে নিই নাশপাতি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-

  • চিকিৎসকদের মতে, গর্ভবতী নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ফলিক এসিডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে নাশপাতিতে। নারীদের বিভিন্ন রোগসহ মেনোপোজ-পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা কাটাতে নাশপাতির জুড়ি নেই।
  • দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকিরি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়।
  • খুশকি ও মাথার চুল পড়ে গেলে নাশপাতির রস ১০-১৫ দিন খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়। করোনারি, থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মাইয়োকার্ডিয়াল সংক্রমণ ইত্যাদি রোগে প্রতিদিন দু-তিন টুকরো নাশপাতি খেলে খুবই উপকার হয়।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির জুড়ি নেই। বিকেলে বা রাতে খাওয়ার পর নাশপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • পানীয় হিসেবে নাশপাতির জুস শরীরের জন্য খুবই কার্যকর।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়।
  • নাশপাতি অ্যালার্জির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়। যারা প্রায়ই হালকা জ্বর এবং অ্যালার্জি সমস্যায় ভোগে, তাদের জন্য নাশপাতি খুবই উপকারী।
  • উচ্চ মাত্রায় মিনারেল থাকার কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। এটি হরমোন উৎপাদন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। নাশপাতিতে আছে হাড়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ‘ভিটামিন-কে’।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: