ডালিম দেখতে যেমন সুন্দর, পুষ্টিগুণেও সেরা

ডালিম খুবই আকর্ষণীয়, মিষ্টি ও সুস্বাদু একটি ফল। এই ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর, এর পুষ্টিগুণও কিন্তু ব্যাপক। এতে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণও। ডালিমের ইংরেজি নাম pomegranate। বৈজ্ঞানিক নাম Punica granatum।

পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীদের মতে, ডালিমে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে খাদ্যশক্তি, শর্করা, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাত্র এক কাপ ডালিম দানায় রয়েছে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার ৩০ শতাংশ ভিটামিন-সি, ৩৬ শতাংশ ভিটামিন-কে, ১৬ শতাংশ ভিটামিন-বি৯ ও ১২ শতাংশ পটাশিয়াম।

চলুন ডালিমের ঔষধি গুণ সম্পর্কে জেনে নিই-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডালিম দেহের কোলস্টেরলের ঝুঁকি কমায়, এতে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। আর এ কারণে এটি অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগীদের জন্যও উপকারি।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি: ডালিমে রয়েছে বহু পুষ্টি উপাদান, যা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এতে অ্যানেমিয়া ও রক্তের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

প্রাকৃতিক ইনসুলিন: ডালিম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। অনেকেই একে ইনসুলিনের বিকল্প হিসেবে মনে করেন। এটি মিষ্টি হলেও সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো সমস্যা হয় না।

ক্যান্সার প্রতিরোধী: ডালিমের বেশ কিছু উপকার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে গবেষণায়।

ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী: দেহে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ডালিম। এছাড়া এটি ফাংগাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধেই ভূমিকা রাখে।

রক্তচাপ: ডালিম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাহলে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহেই রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

আথ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম: ডালিম আথ্রাইটিসে উপকার করে। এছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।

শারীরিক অনুশীলনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: সুস্থ থাকার জন্য কিংবা ভালো পারফর্মেন্সের জন্য অনেকেই শারীরিক অনুশীলন করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুশীলনের পাশাপাশি ডালিম খাওয়া হলে তা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: