ক্যান্সারের উপাদান থাকায় বাজার থেকে বেবিপাউডার তুলে নিচ্ছে জনসন

নতুন করে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টসের সন্ধান মিলেছে। শুক্রবার বেবি পাউডারের বোতলে অ্যাসবেস্টস মেলায় বাজার থেকে এটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় জনসন অ্যান্ড জনসন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, শুক্রবার বেশকিছু বেবিপাউডারের বোতলে অ্যাসবেস্টস মেলায় বাজার থেকে এটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এর পরপরই শেয়ারবাজারে জনসন অ্যান্ড জনসনের স্টকে ৬ শতাংশ দরপতন হয়। এছাড়া অ্যাসবেস্টসের অভিযোগ ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে আরও বেশ কিছু আইনি জটিলতার রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের গুঁড়ো পাওয়া গেছে। যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, কঠোর মান যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হয় যে, জেএনজের কসমেটিক ট্যাল্ক নিরাপদ। বছরের পর বছর নিজেদের ও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিন্সট্রেশন’র (এফডিএ) পরীক্ষায় আমাদের পাউডারে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

এদিকে বিভিন্ন সময় একাধিক নারী জনসন অ্যান্ড জনসন পণ্যে অ্যাসবেস্টস থাকায় জরায়ু ক্যান্সারের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। কিছু কিছু মেডিকেল গবেষণা বলে, দীর্ঘকাল অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে মেসোথেলিওমা ও ফুসফুস ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন দেশে নারী ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করে ট্রান্সভ্যাজাইনাল সার্জিক্যাল ম্যাশ যন্ত্রের মার্কেটিং সংক্রান্ত অভিযোগে এ কোম্পানিকে কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুণতে হয়। অনেক নারীই তাদের এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে আহত হন বলে মামলা করেছেন।

এদিন ওহিওর অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভ ইয়োসতালসো ঘোষণা দেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য জেএনজে ১১৭ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে।

এর আগে ২০০২ সালে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, কয়েক দশক ধরেই জেএনজে জানতো যে, তাদের ট্যালকম পাউডারে অ্যাসবেস্টস আছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চললেও তারা তা অস্বীকার করে আসছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: