আমেরিকায় যুদ্ধ বিরোধী বিক্ষোভ : ইরানে উড়ছে লাল নিশান

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ইরান। এরই মধ্যে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও বালাদ শহরের মার্কিন সেনা ঘাটিতে মর্টার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।

এদিকে ইরানের পবিত্র শহর কোমের জামকারান মসজিদে উত্তোলন করা হয়েছে রক্ত-লাল যুদ্ধের নিশান। ফলে ইরাক, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

অপরদিকে শনিবার আমেরিকার ৭০টি শহরে যুদ্ধ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডেইলি বিস্ট সূত্রে জানা যায়, ইরানি জেনারেল হত্যার পর একের পর এক টুইট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ব্যস্ত, তখন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দেশটির প্রায় ৭০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের উসকানি হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক।

ডেইলি বিস্ট জানিয়েছে, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সব বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভসহ রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। এসময় তাদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল– ‘যুদ্ধ নয়-শান্তি’, ‘যুদ্ধ নয়-উন্নয়ন’, ‘যুদ্ধ নয়-বন্ধুত্ব’, ‘নো জাস্টিস নো পিচ-ইউএস আউট অব মিডল ইস্ট’ স্লোগান।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সিনেটের মেম্বার জ্যাসিকা র‌্যামোজ বলেন, আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরিপন্থী আচরণে আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে একঘরে করা হচ্ছে। এমন অবস্থার অবসানে রাজপথ এবং ক্যাপিটাল হিলে একযোগে সোচ্চার থাকতে হবে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ও বর্ণবাদবিরোধী জোট অ্যান্সার তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন একটি যুদ্ধের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে। বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে অ্যান্সার।

এদিকে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার আহবানের প্রতীক হিসাবে ইরানের একটি মসজিদে রক্ত-লাল নিশান (পতাকা) উড়ানো হয়েছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে।

রুশ গণমাধ্যমটি বলছে, ইরানের পবিত্র শহর কোমের জামকারান মসজিদের মিনারে লাল নিশান উত্তোলন করা হয়েছে। মার্কিন সেনাদের হাতে জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার পর এমন বিরল দৃশ্য দেখা গেল ইরানে। রক্ত-লাল পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানটি শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতেও সম্প্রচার করা হয়।

 

টাইমস/এসএন/আরএ

Share this news on: