চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এছাড়া আরও প্রায় ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এরই মধ্যে চীনে অন্তত: সাড়ে তিনশ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চীনের বাইরে প্রথম এক ব্যক্তি মারা গেছেন ফিলিপাইনে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত: ১৫ হাজারের অধিক মানুষ। যদিও সংখ্যাটি নিয়ে চীন প্রকৃত তথ্য গোপন করছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে।
চীন জুড়ে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল দেশটির হুবেই প্রবেশের উহান শহর এখন পর্যন্ত কার্যত অবরুদ্ধ। শহরের সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ভাইরাসটি যেন দ্রুত ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
কিন্তু এরই মধ্যে জনমানব শূন্য চীনের বেশির ভাগ শহর ও বাজারগুলোতে খাদ্য পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে যেতেও ভয় পাচ্ছেন চীনারা। এছাড়া নতুন করে চীনে দেখা দিয়েছে মাস্ক সংকট। করোনাভাইরাস আতঙ্কে চীনে বসবাসকারীরা প্রচুর পরিমাণে মাস্ক কিনে সংরক্ষণ করায় বাজারে মাস্ক সংকট দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে চীনাদেরকে প্লাস্টিক বোতল, অন্তর্বাস ও কমলার খোসা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এছাড়া কানাডা, আরব আমিরাত, ইতালি, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের অনেক ফার্মেসীতে মাস্ক বিক্রি সীমিত করা হয়েছে। চীনসহ এসব দেশের অধিকাংশ ফার্মেসীতে মাস্ক বিক্রির ক্ষেত্রে ‘স্টক আউট বা সোল্ড আউট’ নোটিশ টানানো হয়েছে।
এদিকে চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। সূত্র-গালফ নিউজ
টাইমস/এসএন