প্রতিবাদের সেই ছবি

দুই পা নেই তার। বসে আছেন হুইলচেয়ারে। পেছনে কালো ধোঁয়া উড়ছে। তেজী ভাব ও ক্ষীপ্র দৃষ্টি তার। হাতে থাকা দড়িতে বাঁধানো পাথর ছুড়ছেন শত্রুর দিকে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি এ নাগরিক এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। প্রতিবাদী এই মানুষটির নাম সাবের আল আসকার। তিনি প্রতি সপ্তাহে প্রতিবাদ জানাতে আসতেন। তার বয়স ২৯ বছর। তবে তাকে আরও বেশি বয়সী মনে হয়।

ছবিটি এ বছরের শুরুর দিকে ২৫তম বায়েউক্স-কালভাদোস পুরস্কারও পায়। ছবিটি তুলেছেন বার্তাসংস্থা এএফপির বার্তাপ্রেরক মাহমুদ হামস। তিনি ছবিটির নাম দিয়েছেন ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’।

৩৮ বছর বয়সী মাহমুদ হামস ফিলিস্তিনে আক্রমণের অনেক ছবিই তুলেছেন। হামস এ বিষয়ে বলেন, ইসরায়েলি আক্রমণের চেয়েও ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ ভয়ঙ্কর ছিল। জেরজালেমে ইসরায়েলি দূতাবাস স্থানান্তরের পর তারা এ প্রতিবাদ করেছিলেন। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সীমান্তে বেঁড়া দিয়ে প্রতিবাদে শরীক হয়েছিলেন।

হামস বলেন, আমি এমন বিক্ষোভ চিত্র কোথাও দেখিনি। সীমানাবর্তী খোলা আকাশের নিচে বিপুল সংখ্যক জনতা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সেই বিক্ষোভে আরও দুই শারীরিক বৈকলাঙ্ক মানুষও প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিক্ষোভে আরও দুই সাংবাদিক নিহত হন।

হামস আরও বলেন, গাজার চারদিকে তখন রক্তাক্ত অবস্থা। চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবারহেও ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম। তবুও আমি ছবি তুলেছি, প্রতিবেদন করেছি। কারণ এটা আমার চাকরি।

Share this news on: