করোনাভাইরাসে নাকাল চীন। অদ্ভুত প্রকৃতির এই ভাইরাসের প্রকোপে মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি দেশটির অর্থনীতিও ভেঙ্গে পড়েছে। এরই মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে ৯০টিরও বেশি দেশে। চীনের বাইরেও দুই শতাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চীন, আমেরিকা, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা গবেষকরা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা অধরাই রয়ে গেছে।
কিন্তু এবার আশার কথা জানিয়েছে চীনের একদল গবেষক। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিয়োজিত গবেষকরা দাবি করেছেন, আগামী মাসেই (এপ্রিল) কোভিড-১৯ রোগের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হবে। এরপরই তা বাজারজাত করা হবে।
শুক্রবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ঝেং ঝং ওয়েই জানান, ভ্যাকসিনের পাঁচটি ধরণ নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষণা উন্নতির পথে। তবে এই ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণার সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গবেষকদের।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, এপ্রিল মাসে হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত রোগীদের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে বিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে গড়ে ৭.৯ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে তা অন্য সদস্যদের শরীরে সংক্রমণের হার প্রায় ১৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করা হয়। চীনে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪২ জন মারা গেছেন। সংক্রমিত হয়েছে অন্তত ৮০ হাজার ৫৫২ জন। এছাড়া চীনের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৮৮১ জন। যে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে।
টাইমস/এসএন/এইচইউ