জাপানের তৈরি ওষুধে সুস্থ হচ্ছেন চীনা রোগীরা

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে ১৬৫টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার পেরিয়েছে। সংখ্যা আরও বাড়বে দিন যত গড়াবে। এখনও তৈরি হয়নি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। যদিও বিশ্বের বাঘা বাঘা সব গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাণান্তকর।

এদিকে করোনাভাইরাসে উৎপত্তির দেশ চীন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বুধবার পর্যন্ত চীনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের হার আগের চেয়ে কমেছে। মৃতের সংখ্যাও আর আগের মত বাড়ছে না। যে কারণে চীনের বিভিন্ন শহর ধীরে ধীরে আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে।

এদিকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের অবস্থার উন্নতিতে জাপানের তৈরি এ্যাভিগন/টি-৭০৫/ফেভিপিরাভি ভ্যাকসিন ভালো কাজ করছে বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জাপানের তৈরি ভ্যাকসিন চীনা রোগীদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। এতে অনেক ভালো ফলাফল এসেছে।

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ঝ্যাং জিনমিন বলেছেন, কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে দারুণ কাজ করছে জাপানি ফেভিপিরাভি। এটা ব্যবহারের পরে অনেক রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮০ জন রোগীর ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এরপর তারা দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তবে এ ব্যাপারে ফেভিপিরাভি’র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানি তয়োমা কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on: