চির ঘুমে জর্জ ফ্লয়েড, অগ্নিগর্ভ যুক্তরাষ্ট্র

শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছেন। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে গেছে লুটপাট ও ছিনতাই। এছাড়া পুলিশের গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

শনিবার জর্জ ফ্লয়েডকে সমাধীস্থ করা হয়েছে। ফ্লয়েডকে বিদায় দিতে তাঁর শবযাত্রায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে শেষকৃত্য শেষে আবারও বিক্ষোভে নেমে পড়েন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেশের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কারফিউ জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু তারপরও কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে এসেছে বর্ণবাদ বিরোধী জনতা।

শনিবারও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহরে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। যাতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। কয়েকটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

এএফপি ও আলজাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় শনিবার সোনালি কফিনে করে মিনিয়াপোলিসে নিহত জর্জ ফ্লয়েডের লাশ সমাধিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাজার হাজার মানুষ মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই শবযাত্রায় অংশ নেন। পরে নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের বড় বড় শহরগুলোতে বর্ণবাদ বিরোধী ও জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিচার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।

এদিকে এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমেরিকায় প্রতিবছর পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে গে ২০০ জন মানুষ মারা যান। কিন্তু এসব হত্যাকান্ডের ৯৯ শতাংশ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয় না। আর এ কারণেই মিনেসোটায় পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর গোটা আমেরিকাজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। যা কোনো কোনো এলাকায় দাঙ্গায় রুপ নেয়।

এদিকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেভিড শভিনসহ তার তিন সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হলে তারা ৪০ বছরের কারাদন্ড পেতে পারেন।

তবে আমেরিকায় ফৌজদারী ও দেওয়ানী অপরাধে পুলিশ সদস্যদের দোষী সাব্যস্তকরণ সীমিত করার পক্ষে আইন আছে। কাজেই আন্দোলনকারীরা চাইলেও হয়তো ডেভিড শেভনরা ছাড়া পেয়ে যাবেন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ