উহানে আগেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বলছেন, স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করে তাদের ধারণা হচ্ছে আগস্টের শেষ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের উহান শহরের পাঁচটি হাসপাতালের বাইরে রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছিল।

শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটে কাশি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ এবং উপশম বিষয় অনুসন্ধানের পরিমাণে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সমীক্ষাটি বর্তমানে পির রিভিউর জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে চীনা কর্তৃপক্ষ গবেষণাটিকে ‌‘হাস্যকর’ এবং ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

ধারণা করা হয় যে, নভেম্বরে কিছু আগে ভাইরাসটি উহানে তার অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে একটি অজানা কারণে নিউমোনিয়ার ঘটনা বৃদ্ধির কথা রিপোর্ট করে।

গবেষণাটি থেকে কি জানা যাচ্ছে?
গবেষকরা উহানের পাঁচটি হাসপাতালের বাইরের বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের ডেটা পরীক্ষা করেছেন, ২০১৮ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিকের এবং শরৎকালের ডেটার সাথে ২০১৯ সালের একই সময়ের ডেটার একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেছেন।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, গবেষকরা ২০১৮ সালের অক্টোবরে উহানের বৃহত্তম হাসপাতালগুলির একটিতে ১৭১টি গাড়ি পার্ক করা দেখতে পেয়েছেন। বছরের একই সময়ে ২০১৯ সালে উপগ্রহ উপাত্ত থেকে একই স্থানে ২৮৫ টি গাড়ি দেখা গেছে, যা প্রায় ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই সময়ে চীনা অনুসন্ধান ইঞ্জিন বাইদুতে করোনভাইরাসের বিভিন্ন লক্ষণ সংক্রান্ত অনুসন্ধানও গতবছরের তুলনায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এ থেকে গবেষকগণ ধারণা করছেন, ওই সময় চীনের উহানে করোনাভাইরাস খুব সম্ভবত ছড়াতে শুরু করে দিয়েছিল। আর চিকিৎসা প্রত্যাশীদের ভিড় বেড়ে গিয়েছিল হাসপাতালগুলিতে।

উল্লেখ্য, চীন প্রথমদিকে কোভিড-১৯ এর অস্তিত্ব লুকাতে চেয়েছিল এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। এমনকি ট্রাম্পসহ অনেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রাথমিক গবেষণাটি এ বিষয়ে আলোচনা আরও উস্কে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চীন বরাবর এসব দাবি অস্বীকার করে আসছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি ও সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: