ইরানে গুলিতে শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত, নেপথ্যে ইসরাইল!

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রাজধানী তেহরানের কাছে মোহসিন ফখরিযাদে নামে ওই বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়। যার নেপথ্যে রয়েছে ইসরাইল। এমনটাই দাবি করেছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দামাভান্দ এলাকায় হামলার পর মি. ফখরিযাদে হাসপাতালে মারা গেছেন। ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। এরই মধ্যে এই হত্যার ঘটনা ঘটল।

ইরানের বার্তা সংস্থাগুলো বলছে আততায়ীরা প্রথমে তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে এবং তার পর তাকে গুলি করে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচির পেছনে প্রধান মাথা বলে মনে করে। এবং মনে করে দেশটির গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে মি ফখরিযাদে মূল ভূমিকা রাখছেন। কূটনীতিকরা তাকে "ইরানে বোমার জনক" বলে বর্ণনা করতেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ এই ঘটনাকে "সন্ত্রাসী কাজ" বলে বর্ণনা করে ইসরায়েল জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন। 'এই কাপুরুষোচিত কাজ - যেখানে ইসরায়েলি ভূমিকার গভীর ইঙ্গিত আছে - প্রমাণ করছে আততায়ীরা যুদ্ধবাজে মরিয়া,'' মি. যারিফ এক টুইট বার্তায় বলেন।

বেসামরিক খাতে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির জন্য এবং একইসঙ্গে সামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি আবশ্যিক উপাদান।

ইরান সবসময়েই বলে এসেছে তারা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যই একমাত্র তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করে। ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি বক্তৃতার সময় মি. ফখিরাযাদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেছিলেন তিনিই ইরানের গোপন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: "মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফখরিযাদেকে নিয়ে যে গাড়িটি যাচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেই গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। "তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে এরপর সংঘর্ষ হয়। এতে মি. ফখরিযাদে গুরুতরভাবে আহত হন এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

উল্লেখ্য, ইরানে পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১০ থেকে ২০১২ এর মধ্যে চারজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে যার পেছনে ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে আসছে ইরান। সূত্র : বিবিসি

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: