মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে চীন। সোমবার এক ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
তিনি বলেন, চীন মিয়ানমারের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী। মিয়ানমারে যা ঘটেছে তা লক্ষ করে পরিস্থিতি আরও বোঝার প্রক্রিয়া চলছে। দেশটির সব পক্ষই সংবিধান ও আইনি কাঠামোর আওতায় যথাযথভাবে তাদের মতপার্থক্য পরিচালনা করে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।
গত মাসে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি মিয়ানমার সফরে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই জেনারেলই এখন দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীন দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগের সামরিক একনায়কতন্ত্রের সময়ও দেশটির পাশে ছিল তারা, এমনকি অং সান সু চি দেশটির নেত্রী হওয়ার পর তার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।
সোমবার ভোররাতের অভিযানে তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি নোবেল পুরস্কার জয়ী সু চিও আটক হয়েছেন।
দেশটির মধ্য দিয়ে তেল-গ্যাস পাইপলাইনের বিশাল প্রকল্পসহ মিয়ানমারে চীনের বেশকিছু কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ আছে। এগুলোর মধ্যে বাস্তবায়নাধীন চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর অন্যতম।
টাইমস/এসজে