উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বহাল রেখেছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন কমিটির গোপনীয় প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের ওই কমিটির প্রতিবেদন তারা দেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি যাতে সামরিক হামলায়ও সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করতেও কাজ করছে দেশটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পরিকল্পিত দ্বিতীয় সম্মেলনের আগে ওই প্রতিবেদনের কথা জানা গেল।
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে ট্রাম্প ও কিমের প্রথম বৈঠকের পর পুরোপুরি পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা।
যদিও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে দারুণ অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে পুরোপুরি উল্টো চিত্র উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে বিমানবন্দরসহ বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করে দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন ও পরীক্ষার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধরনের বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করে হামলার বিষয়টি এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সংযোজন, সংরক্ষণ ও পরীক্ষার এলাকা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে কমিটি।
অবশ্য শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে জমা দেওয়া ৩১৭ পাতার ওই প্রতিবেদন বিষয়ে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশন কোনো মন্তব্য করেনি।
টাইমস/এইচইউ