থাইল্যান্ডে ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে বর্তমান জান্তা সরকারের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা।
রোববার সকালে শুরু হওয়া নির্বাচন চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। খবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই নির্বাচনে দেশটির প্রায় পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ভোটার অংশ নিচ্ছেন। এবার মোট ভোটারের একটা বড় অংশই তরুণ। দেশজুড়ে ৯৩টি পোলিং স্টেশনে ভোটগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে আছেন। তার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা পরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১৪ সালে ইংলাককেও ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। জান্তা সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন প্রায়ুথ চ্যান ওচা।
প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার পরেই সেনাবাহিনীর তরফ থেকে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি এবং বার বার জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, দেরি করে অনুমতি দেওয়ায় তাদের পক্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যক পর্যবেক্ষক পাঠানো সম্ভব হবে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচন অসঙ্গতিপূর্ণ। এতে করে থাইল্যান্ড রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার নতুন ধাপে পৌঁছাতে পারে।
টাইমস/এএস/এইচইউ