প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন আইনজীবী ও দুর্নীতিবিরোধী প্রচারক জুজানা কাপুতোভা। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও শনিবারের নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন।
এ নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থী শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস সেফকোভিচকে পরাজিত করেন। খবর রয়টার্সের।
৪৫ বছর বয়সী জুজানার তেমন কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। আইনজীবী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি বেশি। অন্যদিকে নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন সার-এসডি দলের মারোস সেফকোভিচ ঝানু রাজনীতিবিদ। তিনি ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে ৫৮ শতাংশ ভোট পান জুজানা। মারোস পান ৪২ শতাংশ ভোট।
২০১৮ সালে একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের খুনের ঘটনা এ নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছিল। সাংবাদিক ইয়াং কুচিয়াক পরিকল্পিত অপরাধগুলোর সঙ্গে রাজনীতিবিদের সম্পর্ক নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন। তার এ অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজের হবু স্ত্রীর সামনেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কুচিয়াকের হত্যাকাণ্ড নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন কাপুতোভা।
তালাকপ্রাপ্ত কাপুতোভা দুই সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন ধরেই সমকামী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গর্ভপাতের ওপর স্লোভাকিয়ার নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছেন তিনি। তিনি লিবারেল প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া পার্টির একজন সদস্য। তবে স্লোভাকিয়ার পার্লামেন্টে এর আগে এই দলটির কোনো আসন ছিল না।
টাইমস/এইচইউ