বিজেপির পুরো দলটা চালায় প্রধানমন্ত্রীর অফিস: শত্রুঘ্ন সিনহা

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি(বিজেপি) ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। আর এর জন্য বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসকেই বেছে নিলেন বিহারের পটনা সাহিবের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। শনিবার রাজধানী দিল্লিতে ভারতীয় কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে তিনি কংগ্রেসে নাম লেখান। এ সময় কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার উপস্থিত ছিলেন।

আর তারপরই তোপ দাগলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জুটির বিরুদ্ধে। কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বিজেপি এখন ‘ওয়ান ম্যান শো’ এবং ‘টু-ম্যান আর্মি’ হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

বরাবর লালকৃষ্ণ আদভানির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই বিজেপি সাংসদকে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল রাজনৈতিক জল্পনা। মোদি-অমিত শাহ জুটির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে দল থেকে বের করেনি বিজেপি। তাই দলের মধ্যে থেকেই জারি ছিল তার বিরোধিতা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তাকে প্রার্থী না করায় বিরোধ চরমে ওঠে। তখনই পাওয়া গিয়েছিল দলত্যাগের ইঙ্গিত। শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার জন্য বিজেপির ৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসকেই বেছে নিলেন তিনি।

কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরও শত্রুঘ্নর নিশানা ছিল মোদি-শাহ জুটিকে লক্ষ্য করেই। তিনি বলেন, 'ইচ্ছাকৃতভাবে মার্গদর্শক মণ্ডলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আদভানি-কে। জসবন্ত সিং ও যশবন্ত সিনহার সঙ্গেও এমন আচরণ করা হয়েছে। অথচ তাদের নিয়ে এই মণ্ডলের এখনও পর্যন্ত একটাও বৈঠক হয়নি। সমালোচনায় সরব বলে আমাকেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও আমার ভাবমূর্তি বরাবরই স্বচ্ছ।' কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর নোটবন্দিকে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলেও মন্তব্য করেন শত্রুঘ্ন।

মোদি-শাহ জুটির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে ‘ওয়ান ম্যান শো’ এবং ‘টু-ম্যান আর্মি’ বলেও কটাক্ষ করেন শত্রুঘ্ন। তার কথায়, পুরো দলটা (বিজেপি) চালায় প্রধানমন্ত্রীর অফিস। একজন মন্ত্রীও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। আমরা বিজেপিতে দেখেছি, কীভাবে তিলতিল করে, গণতন্ত্র বদলে গেল একনায়কতন্ত্রকে। নামেই মন্ত্রী হয়ে বসে রয়েছেন লোকজন।'

কংগ্রেসে যোগ দেয়ার পর আসন্ন নির্বাচনে বিহারের পাটনা সাহিবে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনাও জোরাল।এর আগে বিজেপির হয়ে সেখান থেকে দু’-দু’বার নির্বাচিত সাংসদ তিনি। এ বারে পাটনা সাহিব থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে দাঁড় করাচ্ছে বিজেপি।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: