ফিলিপ গিলেট। ৬৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তির বাড়ি ফ্রান্সের ন্যান্টস শহরে। দু’দশক ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪শ' এর বেশি প্রজাতির প্রাণী জোগাড় করে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। কী নেই সেখানে? কুমির, বিষধর নানা প্রজাতির সাপের পাশাপাশি মাকড়শা ও টিকটিকির মতো প্রাণীও রয়েছে৷ বাড়ি তো নয়, যেন আস্ত একটা চিড়িয়াখানা।
নিজের ঘরে কুমির
প্রাণীগুলোর নামও দিয়েছেন ফিলিপ গিলেট। আলি ও গাটোর নামে দুটি কুমির আনা হয়েছিল লেদার ফার্ম থেকে৷ বাকি প্রাণীগুলোর অধিকাংশই গৃহে পালিত এবং সেগুলো পরিত্যক্ত বা দান হিসেবে পেয়েছেন বলে জানান গিলেট৷ নিজের লিভিং রুমে কুমিরদের মুরগি খেতে দিচ্ছেন তিনি।
সাপের সাথে সখ্য
গোখরা সাপের নাম অনেকের মধ্যে ভয় ধরালেও এই কালো গোখরা নিয়ে এক ঘরে বসবাস করেন গিলেট৷
অজগরের সঙ্গে
নিজের অবসর সময়ে অজগরের সাথেই খেলায় মেতে উঠেন তিনি।
বাগানে ইগুয়ানা
ইগুয়ানা নামের এই প্রাণীটি বৃক্ষচর৷ উষ্ণমণ্ডলীয় আমেরিকার এই সরীসৃপ সব সময় ঘুরে বেড়ায় বাগানে৷
মাকড়শার সঙ্গেও ভাব
বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে নিজের ঘরে ঠাঁই দেওয়া চার শতাধিক প্রাণীর সঙ্গেই সখ্য গড়ে উঠেছে ফিলিপ গিলেটের৷ ঘরের মধ্যে হাতে মাকড়শা নিয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তিনি৷
প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ
তার এই সংগ্রহশালা নিয়ে যাতে ক্ষুব্ধ না হন, সেজন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে সব সময় যোগাোযাগ রাখেন গিলেট৷ তাদের কফির দাওয়াত দেন৷ তবে দুই দরজাওয়াল একটি কক্ষে বিষধর সাপগুলোকে আটকে রাখার পর আমন্ত্রিতরা আসেন।
প্রাণী নিয়ে রোড শো
সাপ, কুমিরসহ এসব প্রাণী সংরক্ষণ এবং রোড শো-র জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার অনুমতি রয়েছে গিলেটের৷ সরীসৃপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রোড শো’র আয়োজন করেন তিনি৷
টাইমস/এএস/এসআই