শ্রীলঙ্কায় হামলায় নিহত বেড়ে ২৯০, গ্রেপ্তার ২৪

শ্রীলঙ্কায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালে গির্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০ জনে।

সোমবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে রোববার রাতে ২০৭ জন নিহতের খবর দিয়েছিল পুলিশ।

বিবিসি জানায়, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ বিভাগ। কিন্তু কারা এসব হামলা চালিয়েছে শ্রীলঙ্কান সরকার এখন পর্যন্ত তা চিহ্নিত করতে পারেনি। এ যাবত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

হামলাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ভুল তথ্য বা গুজব ছড়াতে না পারে সে জন্য দেশটিতে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে।

রোববার চালানো ওইসব হামলায় প্রায় ৫০০ মানুষ আহত হন। হতাহতদের মাঝে বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও আছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি।

এর মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আট বছর বয়সী নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স।

২০০৯ সালে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর এটিই শ্রীলঙ্কায় হওয়া সবচেয়ে সহিংস ঘটনা।

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় গির্জা ও হোটেলে সব মিলিয়ে আটটি বিস্ফোরণ ঘটে। ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা গির্জায় থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণগুলো ঘটে।

শ্রীলঙ্কার পশ্চিম প্রদেশের নেগম্বো, পূর্ব প্রদেশের বাট্টিকালো এবং রাজধানী কলম্বোর গির্জাগুলোতে বোমা হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচ তারকা হোটেল সাংরি-লা, কিংসবুরি, সিনামন গ্র্যান্ডসহ আরেকটি আবাসিক হোটেলে হামলা হয়।

আরও পড়ুন..

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ২০৭

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: