হংকংয়ে একটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্ট কক্ষেই মারামারিতে জড়িয়েছেনে সংসদ সদস্যরা।
শনিবার পার্লামেন্ট কক্ষে এ মারামারিতে বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হংকংয়ের কোনো বাসিন্দার নামে চীনের মূল ভূখণ্ড, ম্যাকাউ কিংবা তাইওয়ানে মামলা হলে, সন্দেহভাজন ওই অপরাধীকে প্রয়োজনে সেসব স্থানে পাঠানোর বিধান রেখে একটি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়।
পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই মনে করেন আইনটি কার্যকর হলে হংকংয়ের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে।
আইনের পরিবর্তনের মাধ্যমে হংকংয়ের নাগরিকদের চীনের কাছে সহজেই তুলে দেওয়া যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আর এ নিয়েই পার্লামেন্ট কক্ষেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।
তবে হংকংয়ের চীনপন্থি কর্তৃপক্ষ বলছে, বেইজিংর কাছে স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে নয়, ছুটিতে তাইওয়ান গিয়ে গর্ভবতী বান্ধবীকে খুন করে বাড়ি ফিরে আসা এক বাসিন্দাকে তাইপের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যেই তারা এ সংশোধনী আনতে চাইছেন।
বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ এক আইনপ্রণেতা এ মারামারির ঘটনাকে ‘হংকংয়ের জন্য বিষাদের দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রয়টার্স জানায়, পার্লামেন্টে মাইক্রেফোনের দখল নিতে গিয়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান। মারামারির এক পর্যায়ে গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা গ্যারি ফেন মাটিতে পড়ে যান, পরে তাকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। চীনপন্থি এক সাংসদকেও পরে স্লিংয়ে হাত ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
আইনটির সংশোধনী প্রস্তাবের বিপক্ষে হংকংয়ে এপ্রিল মাস থেকেই একের পর এক বিক্ষোভ হচ্ছে। কট্টরপন্থি ব্যবসায়ীরাও এই সংশোধনীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
হংকংয়ের ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বলেছে, প্রস্তাবিত এ সংশোধনী ‘একেবারেই অপ্রয়োজনীয়’ যার মাধ্যমে হংকংয়ের বাসিন্দারা স্বাধীনতা, সম্পদ এমনকি তাদের জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
টাইমস/এএইচ/এসআই