ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে তাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরুর পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এটাই প্রথম শুভেচ্ছা বিনিময়। খবর এনডিটিভির।
ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ফটোসেশনে লিডার লাউন্সে থাকার সময় দুই নেতার এই শুভেচ্ছা বিনিময়কে কোনোভাবেই বৈঠক আখ্যায়িত করা যায় না।
এর আগে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায় এসসিও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একাধিকবার দেখা হলেও একে অপরকে এড়িয়ে চলতে দেখা গেছে।
ভারতের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, এসসিও সম্মেলনে ইমরানের সঙ্গে বৈঠক হবে না নরেন্দ্র মোদির। এ নিয়ে নিজ দেশে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েন ইমরান। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতির জন্য ইমরান সরকারের দুর্বল কূটনীতিকে দায়ী করে আসছে দেশটির বিরোধী শিবির।
বছর দুয়েক আগেও ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণটা খানিক ভিন্ন ছিল। ২০১৭ সালের জুনে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে এসসিও সম্মেলন মঞ্চে দেখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির। শরিফের সুস্বাস্থ্য কামনা করে পরিবারের খবরও নিয়েছিলেন মোদি।
এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা, তারপর বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে ভারতের বিমান হানা এবং তার পরদিন পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। এমনকি যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তখন থেকে দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতা চরম মাত্রায় পৌঁছাতে থাকে। আর তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে বিশকেকের এসসিও সম্মেলনেও। দুই দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধির পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার এসসিও সম্মেলনে আসা নেতাদের সম্মানে কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সোরনবে জেনবিকভের আয়োজিত নৈশভোজে দেখা হলেও কথা বলেননি নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান।
টাইমস/জিএস