যাবজ্জীবন কারাবাস শুরু করেছেন ‘দোসা কিং’

জ্যোতিষীর পরামর্শে নিজের প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর স্ত্রী-কে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ভারতের বিখ্যাত গ্লোবাল চেইন রেস্তোরাঁ 'সারাভানা ভবন' এর কর্ণধার পি রাজাগোপাল।

নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীকে বিয়ে করতে না পেরে তাকে হত্যার আদেশ দেন তিনি। এই জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখে। বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে শেষ দফা আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

বিবিসি জানায়, ২০০৯ সালে রাজাগোপালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়ার পর থেকে তিনি এই সাজা কমানোর চেষ্টা করে আসছেন। মঙ্গলবার সবশেষ আবেদনে স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে সেটিও নাকচ হয়ে যায়।

রাজাগোপালের রেস্তোরাঁটি একটি দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের নামানুসারে তাকে 'দোসা কিং' বা দোসা'র রাজা বলে ডাকা হয়।

বিশ্বব্যাপী সারাভানা ভবনের ৮০টি শাখা এবং কয়েক হাজার কর্মী রয়েছে।

নিউইয়র্ক, সিডনি, লন্ডনের মত শহরে তার খাবারের দোকানের শাখা রয়েছে।

নিজের একজন কর্মচারীর স্ত্রী-কে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিলেন রাজাগোপাল। ২০০৩ সালে ওই নারীকে নানান ধরনের লোভ এবং তার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ উঠে রাজাগোপালের বিরুদ্ধে। সেসময় ওই নারীর ভাইকে নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।

২০০১ সালে ওই নারীর স্বামী নিখোঁজ হন। এর জন্য রাজাগোপালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই নারী। পরে একটি জঙ্গলে তার স্বামীর মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হন যে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

একটি স্থানীয় আদালত ২০০৪ সালে রাজাগোপালকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে চেন্নাইয়ের হাইকোর্ট ২০০৯ সালে তার শাস্তি বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

এ বছরের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট রাজাগোপালের দণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। মঙ্গলবার অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে করা রাজাগোপালের শেষ আবেদন বাতিল হলে তিনি চেন্নাইয়ের আাদালতে নিজেকে সমর্পণ করেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: